দিগন্ত বিস্তৃত সবুজ সেজেছে সোনারঙা ধানে,
হেমন্তের প্রাণ নবান্ন এলো বছর ঘুরে অঘ্রানে;
ধানের শিষে শিশির বিন্দু ভোরের আলোয় হাসে,
কিষাণ গিয়েছে কাটতে ধান নব অন্নের আশে।


রাশি রাশি ধান মুখে এনেছে হাসি চোখ জুড়িয়ে যায়,
কিষাণ বধূ সোনালী রোদে উঠানে ধান শুকায়;
নতুন চালের গুঁড়ো আর নতুন গুড় দিয়ে হবে নবান্ন,
পিঠা-পায়েস, ক্ষীর-সন্দেশ আরও কত খাবার বিভিন্ন!


জামাই-মেয়ে নাইয়র এসেছে ভূড়ি-ভোজন হবে রাতে,
মাছের মাথার মুড়িঘন্ট, সরষে ইলিশ কত পদ তার সাথে!
নয় রান্নার নয়টি বাটি সাজানো থালার চারিধারে,
সর্বাগ্রে অর্পিত হবে নতুন অন্ন বংশের পূর্ব-পুুরুষ স্মরণে।


অগ্রহায়ণে গোলা ভরা ধান কৃষকের প্রাণ জুড়ায়,
লোনা ঘাম ঝরানো কষ্টের কথা ভুলে সুখের ছোঁয়ায়;
অধরে সুখের রেখা ফোটে কিষাণীর ভাগ্যাকাশে,
বারো মাসে তেরো পার্বণের এই সোনার বাংলাদেশে।


১৮ নভেম্বর, ২০১৬