(তিন পর্বের শেষ পর্ব আজ)


তোমাদের কোমল পদ-ব্রজের অনুদান
সৌভাগ্য বয়ে আনে রাত্রি যাপনে,
সৃজে নরম বিছানা; ঐ ফুটপাত, ওভার ব্রীজ
প্লাটফর্ম কিংবা উদার দ্রুমের বক্ষতলে।
অবিশ্রান্ত দেহ অসহ ভারে
নুয়ে পড়ে নিস্পন্দিত অবসাদে।
রাত দিন মশা মাছির উপভোগ্য এ বস্তু;
জোছনায় পোড়ানো ঝলসানো শরীর
পরম তৃপ্তি মেটায় ওদের,
পূর্ণিমার রূপালি আলো রয় তাকিয়ে
জীর্ণ শরীর ভোগের উৎসবে।


প্রাপ্তি অপ্রাপ্তির পরিহাস্য মৌলিক অধিকার
ঐসব অদেখা স্বর্গ, সেতো বহুদূরে. . .!
পাহাড়সম বাঁধায় শীর্ণ জীবন; নিভু নিভু প্রদীপে
দোদুল্যমান! চলমান দিবস অতিক্রমে,
ঈদ, পূজা ঘুরে ফিরে তোমাদের উঠোন রাঙায়
আসে না বাঁকা চাঁদের হাসি অন্ধ-রাজ্যাকাশে।
শুধু ভাগ্যের অট্টহাস্য সাথে নির্মম নিয়তি;
অনতিক্রম্য দেয়াল গড়েছে
তোমাদের ভদ্র-সমাজ আর আমাদের মাঝে।


ছন্নছাড়া নিন্দিত বোঝা সুশীল সমাজের
ছিন্নমূলের বদ্ধ জীবন; অবহেলা আর নিগ্রহে,
অনুভূতিহীন মাংস-পিণ্ড ধুঁকে ধুঁকে নিঃশেষ;
কার কিবা যায় আসে।
ভুল জন্মে পাপে কেনা বহমান দুঃখের স্রোতে
মহাকালের পুণ্যতরণী, অস্পৃশ্যই রইল আজীবন
চোখ ফেটে গড়ে পড়ে জল; তীব্র অভিমানে,
খরতপ্তে চৌচির বুকের বিদীর্ণ আর্তনাদ
স্বরতন্ত্রী ছিন্ন করা আকুল আহাজারি;
দগ্ধ বাষ্প ভেদে পৌঁছায় না
ঐ ভদ্রপল্লীর ঈশ্বরের কানে।


রচনা ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৬


সকলকে পথ শিশুদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি। তাদেরকে স্বাভাবিক জীবন উপহার দেওয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য। মানুষকে ভালোবাসুন, মানুষের পাশে থাকুন। সঙ্গে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।