তুমি যখন কবিতা শুনবে বলে ছলনা করে হলেও বায়না ধরো,
তখন আমার ওষ্ঠে হাজারো বৃষ্টি কনার শব্দ রংধনু রঙ মিশিয়ে
আমায় মুখোরিত করে কবিতা আবৃত্তির দোলায় ভাসতে। আমার
ভালবাসার মাটি, আকাশ, সাগর, পাহাড়, নদী আর অসীম প্রকৃতি
এক হয়ে যায় একটি সত্তার মাঝে যেখানে কেবল খুঁজে পাই  
তোমার অস্তিত্ব, তোমার ভালবাসা, প্রেম আর মালঞ্চ অভিমান।


তুমি যখন গান শুনবে বলে ঘটা করে হাতটা টেনে বসিয়ে দাও
হারমোনিয়ামের সামনে আর দু’গালে তালু ঠেকিয়ে একনিষ্ঠ শ্রোতার
ভূমিকায় তাকিয়ে থাকো আমার দিকে- তখন আমার কন্ঠে বসন্তের
হাজার কোকিল সুর নিয়ে এসে ভালবাসার গানে গানে মূর্ছনায় ভরে
চারিপাশ। তখন আমার ভালবাসার শব্দরা, কথারা, ভাব, আবেগ,
ছন্দ, এবং সকল কবিতারা একটি কবিতা হয়ে কন্ঠে ঝরে-
ভালবাসি তোমাকে।


তুমি যখন আমাদের ভালবাসার কথা শুনবে বলে অনেক ব্যাস্ততার  
মাঝেও আটপৌরে শাড়ির আঁচলে কর্মমুখোর ঘাম দু’হাতে মুছতে
মুছতে সম্মুখে বসে আমার চোখে চোখ রাখ কষ্ট জড়ানো হাসি ওষ্ঠে
ভাসিয়ে- তখন বিগত সকল অভাব, অভিযোগ, মান-অভিমান,
ভুল বুঝাবুঝি নিমিশেই হুমায়ুন আহম্মদের “আয়নাঘর” হয়ে যায়
আমার মন পুড়া ভালবাসারা, আমার চোখের জলে ভাসা কষ্ট প্রেম।


অথচ তুমি যখন আমার চাওয়া, আমার স্বপ্ন, আমার ভাললাগা
কবিতা, আমার হৃদয় বীনার গান, আমার আড্ডার বুন্ধুরা, অথবা
উদাস ভেসে যাওয়া আমার অবসর সময়কে উপেক্ষা কর, অবজ্ঞায়
ভরিয়ে দাও ভাললাগা কল্পনার চাদর- তখন সকল মহাসাগরের
আহর গর্জন শুনি আমার সকল অস্তিত্বে কানে কানে, আর দু’টি
চোখ যেন হয়ে যায় হাজার আকাশের স্রাবন মেঘের চোখ, তখন
কখনও কখনও তোমাকে বড্ড অচেনা লাগে।