প্রানহীন দেহটাকে চিতায় কিংবা গোরে শুইয়ে দিলেই কি
একটা ভালবাসার মানুষ নিশ্চিহ্ন হোয়ে যায়! দেহ জ্বালানো  
আগুন কি পারে মনকে পোড়াতে অথবা মাটির গোর?
পারে কি স্মৃতিহীন নিঃশেষ শুন্যতায় আর এক মানুষের
ভালবাসায় স্বপ্ন আর বাস্তবতার সাথে নতুন জগতে আকাশ
বাতাস নদী সমুদ্র পাহাড় ঝর্ণা হাসি কান্না সুখ দুঃখ নিয়ে
দোল খেতে অনুক্ষণ! বেঁচে থাকা মনকে না বুঝেই কেন
নিঃসঙ্গতায় হারাতে চায় রক্ত মাংসের দেহ?
  
তাইত মন কখনও একক নয়, মন স্থান কাল পাত্র ভেদে
খন্ডিত সত্তার একক প্রকাশ মাত্র। তুমি নেই কিন্তু তোমার
সত্তার আর এক রুপ “প্রেম এবং ভালবাসার সাত কাহন”
শিরোনামের কাব্য গ্রন্থ হোয়ে তোমার তুমি ঠিকই আজোও
আমার পারিবারিক লাইব্রেরীর সাহিত্য তাকের ফাঁকে জীবন্ত
হোয়ে বসে আছো। আজ বর্ষণ সন্ধ্যায় তোমার দিকে চোখ
পড়তেই তুমি ডাকলে ইশারায় স্পর্শে জড়াতে, যেমন করে
তোমাকে বুকে নিয়ে ঘুমিয়ে যেতাম বিজন রাতে।


অথচ সকলেই কি অবলিলায় বলে যায় অমুখের স্বমুখ নাইতো
তাই নির্দ্বীধায় সমাজ শালিশিতে বসে প্রতিবাদ করছে ষড়যন্ত্র
ঠেকাতে তমুখ তার অস্তিত্বের নিরপেক্ষ ভাবনায়। অথচ হয়ত
তখনও তার অনামিকায় শোভিত সেই নিরিক্ষনে পাওয়া
স্বর্নের আংটি অথবা কন্ঠে জড়ানো হাঁসুলি যা তার ভালবাসার
মানুষের কাছে পাওয়া স্বিকৃতির নিদর্শণ। তাই ভালবাসার মানুষ
কি হারিয়ে যায় নাকি বিস্মৃত হয় মনের পর্দায়!

বরং, সে আর এক রুপ রস গন্ধ নিয়ে খন্ডিত মনের
তাকে তাকে সাজাতে চায় ভিন্ন এক সত্তার মানুষকে ভালবাসা  
আর বিশ্বাস নিয়ে, নতুন স্বপ্ন নিয়ে সম্মুখে এগুতে চায় ধাপে
ধাপে। বড্ড বন্ধুর সে পথ! তাই মনের ভেতর আকাশ সমান
খন্ডিত মনের সত্তাকে ভালোবেসে সমাজে মাথা উঁচু করে বাঁচতে
চাইলেও মনের অজান্তেই ফিরে যায় প্রায় সকলেই। অথচ যে
পারে সে তোমার মতই কোন মহীয়সী নারী যার নিঃস্বার্থ
প্রেম আর ভালবাসাকে বলি মরমীয়া।