পূবের বারান্দায় গ্রীলের ফাঁক গলে নারিকেল গাছটা
এখন উঁকি দেয় আমার বেড রুম। দেখতে দেখতে
বড় হল ওর শরীর, বড় হল ওর দৃষ্টি, বড় হল যৌবনা
কৌতুহল, শৈশবকে পিছু ফেলে দিনের পর দিন।
এখন ওর ডালে বাবুই পাখি বাসা বাঁধতে চায়।
এ বারান্দায় প্রতি সকালে রোদের ঝিকিমিকি খেলায়  
আমি কিছুক্ষন ডুবে থাকি। আর বিশ্বাসে আলো ভরে
নিতে, চেয়ে থাকি দূর আকাশে। কথা বলি গাছের সাথে,  
কথা বলি প্রকৃতির সাথে, কখনও প্রভাতি আলোর সাথে।


প্রতিদিনের মত আজও প্রভাতের আলো - বারান্দার
চৌকাঠ ঠেলে ঘরে প্রবেশ করেছে। আমায় ডেকেছে সে
বার বার। নারিকেল গাছটার কৌতুহলী উঁকি আমার
দিকে তখনও ঝুলে ছিল আমি তা বেশ অনুভব করেছি।
ক্ষনে ক্ষনে পাল্টেছে পুবের আকাশের রঙ। তবুও সকালকে
আজ একটুও দেখতে ইচ্ছে করেনি, কারও  সাথে কথা
বলতে ইচ্ছে হয়নি, নির্ঘুম বিছানায় তখনও গত রাতের
ক্লান্ত চোখ আমার ঠাঁয় দাঁড়িয়ে ছিল তোমার ভাবনার
ঠিকানাহীন পথে।


কেন এমন হল, এর জন্য কাকে সন্দেহ করব, কাকে
দোষ দেব? আসলে গত রাতে সারা বিছানা জুড়ে যে আরব্য
মাখামাখি ছিল -সেখানে তোমার আদর, তোমার প্রেম,  
তোমার ভালবাসাদের উপেক্ষা করে ভেতরে ভেতরে আমিই
ছিলাম যেন বিরহী অস্থিরতায়। তাই শরীরের বারান্দাতেই
জমেছিল আঁধার রোদের খেলা, ছিল  অশরীরীয় স্পর্শের উঁকি,
আর  নির্ঘুম  স্থির ঠোঁটে ছিল জমে থাকা কামনার অনেক
গল্প-উপন্যাস। আর সে গল্প-উপন্যাসের নায়িকা ছিলে তুমি।
তাই আজ সকাল আর দেখা হয়নি।