আমার রাত্রির শিয়রে যে অচেনা পাখি
ডেকে ডেকে যায় তার চোখের দৃষ্টি কি
পড়ে আমার চোখে। সে কি দেখে এ চোখ
ভিজে যে বুকের আগুনে সে বুকে আগুন
নেভে নাই শুধু বেড়েই গেছে দিনের পর
দিন। অথচ জলেই তো নেভার কথা ছিল
দাউদাউ আগুনের।  

তুমি আমার এত কাছে তবুও মনে হয়
আজ অনেক দূরে। তুমি আমার বুকের
এত গভীরে তবুও মনে হয় তুমি নেই।
তুমি জ্বলে জ্বলে যাচ্ছ অন্য কারও বুকে
আগুন হতে। তাহলে কি আগুনের সাথে
তোমার বুঝা পড়াটা আজকাল বিরহী
জলের অণুকুলে শান্ত?


আমার রাত্রির নিঃসঙ্গ ডালে যে অচেনা
পাখি গান গেয়ে যায় সে কি বুঝে তার
সুর বাজে আমার কানে। সে কি বুঝে যে
কষ্টের সমুদ্র গর্জন তোলে অন্তরের ভেতর
সে গর্জন কবে থেকে শুরু হয়ে আজও তা
বেজে বেজে যায় অহর্নিশি। অথচ অন্তরে
জমা ছিল শান্ত দীঘির স্নিগ্ধ ঢেউ।


পাখির চোখ আমি দেখি না, দেখি না
সে চোখেও কি জল ঝরে অথবা আগুন
উথলায় কি না তার বুকে। পাখির গান
আমি শুনি, কিন্তু ঠোঁটের আগায় কোন
না বলা কথা গান হয়ে বাতাসে ভাসার
আগেই হারিয়ে যায়, নিস্তব্ধতাতেও শুনতে
পাই না তার কষ্ট মৃদঙ্গ।


তুমি হীন সেই অচেনা পাখিকে তুমি ভেবে
তবুও ভালবাসলাম আমার বিরহী রাত্রির
নিঃসঙ্গতাকে দূরে ঠেলতে পারব বলে, অথচ
পাখি মুখ লুকায় দিনের আলোয়, খাঁচা পড়ে  
থাকে শূন্য, আমি পড়ে থাকি শূণ্যতায়,
তাহলে পাশে থাকবে না বলেই তুমিই কি  
কেবল রাত্রি হয়ে যাও অচেনা পাখি হতে!