আচ্ছা তোর জীবন তো অনেক সুখের গল্প
দিয়ে সাজানো। যেখানে কষ্ট দুঃখ’র চেয়ে
সুখ আনন্দ আর শান্তি নিয়ে তুই বেশ কাটিয়ে
দিলি এতটা জীবন সংসার আর এই ঘুনে ধরা
সমাজের আনকালচার্ড বলয়কে উপেক্ষা করে।
যৌবনের প্রথম ফাগুনের সেই বুক ধুক্‌পুক্‌ করা
দোলাকে আজও কি অদ্ভূত স্পর্শে মেলে ধরিস
তোর পথের মাঝখানে ছন্দ নৃত্য মুদ্রায়।


তবুও কানের বাইরে শুনি তোর অস্পষ্ট বেদনার
সুর এমন, যেন কোন মরুর খাঁখাঁ প্রান্ত থেকে ভেসে
আসা লু’হাওয়ার উদ্ধত শিশ্‌, যেন কোন প্রত্যন্ত
মহা সাগরের নির্জন কোন বালুবেলায় আঁছড়ে
পড়া ভয়ংকর পাহাড়িয়া ঢেউয়ের বিরহ কান্না,
কোন শুন্য ছায়াপথের বোঁটা থেকে খসে পড়া
তারার পতন্মূখ ঘর্ষনের আহাজারি।


কেন এমন হয়, কেন এমন অচেনা সুখের অপর
পৃষ্ঠে অচেনা গল্পেরা বাসা বাঁধে, কেন সে গল্প
নিজেই হারিয়ে যেতে যেতে আবার কোন আষাঢ়
শ্রাবনের বৃষ্টিতে ভিজে শুষ্ক বীজের কান্ড গজানোর
মত ধীরে ধীরে আলোর পথে হাঁটতে চায়, কেন
তাকে ইচ্ছে করেও দূরে রাখা যায় না?


তাই তুই যতই বলিস তুই অনেক সুখে আছিস,
তোর কোন দুঃখ নেই, তাহলে বলবঃ তুই আমাকে
সুখি দেখতে চেয়ে মিথ্যবাদী হোয়ে যাচ্ছিস নাতো?
তুই যতই বলিস তুই অনেক আনন্দে আছিস,
তাহলে বলবঃ আমাকে আনন্দে রাখতে তোর হাসির
আড়ালে আনন্দকে কবর দিচ্ছিস নাতো? যতই
বলিস তুই অনেক শান্তিতে আছিস, তাহলে বলবঃ
আমাকে শান্তিতে রাখতে নিঃস্ব হোয়ে যাচ্ছিস নাতো?