অসময়ের বৃষ্টিতে কেমন বিষণ্ণতায়
ভরে মন,সুরজহিন আকাশে মেঘের
নাঙ্গা অন্ধকার আরও নাঙ্গা হয়,
বাড়ির পরিবেশ ঝিম ধরলেও
ব্যাড রুমের দরজার শিটকিনি
নাগাল পায়না বেহুদা গাঢ় বৃষ্টির,
কেবল নুপুরের শব্দ আসে
ভেতর থেকে কানের বাইরে
শিহরিত শব্দের বৃষ্টিতে ভিজতে।


তবুও মন চায় প্রসিক্ত বৃষ্টি হোক
আজ সারাটা দিন। পর্জটনের জানালা
দিয়ে চোখ রাখার মত করে বাইরে
দৃষ্টি দিই, দেখি যে বাগানে তুমি হাঁটতে
সে বাগানে বর্ষা জব্দ জবা ফুলের মাংস ক্ষত।


ঘাস পাতার বুকে কেঁচোর হাঁটাহাঁটি,
একসময় এতেও তোমার আগ্রহের কমতি
ছিল না, অথচ শ্রাবণ কৃষকের
পায়ের মত কি রোগ হল তোমার তাই
ফুল বাগান থেকে দূরে থাকো আজকাল।


ইচ্ছে ছিল তোমার সারা শরীরে ছড়িয়ে দিই
জ্যোৎস্নার আদর আর প্রকৃতির প্রেম। অথচ
অসময়ের বৃষ্টি, নাঙ্গা রাত, কালো
মেঘ কি আর তাকে আসতে দিল।


তাই আজ সাদা মেঘ পেড়ে আনতে
বড্ড ইচ্ছে হচ্ছে, ইচ্ছে হচ্ছে তোমাকে
নিয়ে নদীর উরুতে যে চর জেগেছে,
সে চরের ধবধবে বালুময় রাজ্যে খেয়া পাড়ের
টং ঘরে বাঁধি আমার নিশুক্তি ঘর, মৌতাত জুড়ানো
ঘামের শরীর আর শিহরিত ঘাম হোক
অম্ল বৃষ্টির পর আমার অস্তিত্তের সবুজ অঙ্কুর ।