সৃতিময় পুরনো পাণ্ডুলিপি, বহু চন্দ্রভুক অদেখা বন্ধুদের চিঠি,
সন্দিহান কিছু দলিলপত্র, ভালবাসায় জড়ানো কিছু ক্ষুদ্র উপহার
পুরনো আলমিরার তাকে যত্নে তুলে রেখেছিলাম। আলমিরাটার
দিকে চোখ পড়লে মাঝে মাঝে মনে হয় মৃত্যুর আগে ওসব কি
আর কখনো নেড়ে চেড়ে দেখা হবে !


তবুও এক সন্ধায় হাত বাড়ালাম, দেখি ওতে আর যত্ন নেই
আছে ধুলোর আস্তর, বন্ধাত্তের গন্ধ। পোড়া আবেগে হলদেটে
পুরনো পাতা উল্টাতে উল্টাতে চোখে পড়লো জ্যান্ত ঘুনে পোকা,
শব্দ খেয়ে ফেলা ফুটো করা দলীল যেন হয়েছে আরও সন্দিহান।


কত্থেকে এলো, কখন এলো এ ঘুনে পোকা জানি না।
ফুটো হওয়া পাতার শব্দেরা কোন অভিমানে হারিয়েছে
পোকার উদরে তাও জানি না। তবে কষ্ট পাইনি এততুকুও,
কান্নাও জমেনি ঝাপসা চোখে। বরং কৃতজ্ঞ হয়েছি ওই পকার
কাছে, ওর বেঁচে থাকার উদ্দামতার কাছে।


কেননা এ পড়ন্ত অবসরে ভালবাসা, রাগ-অভিমান,
পাওয়া আর না পাওয়ার বেদনা, সন্দিহান দলীলের
অব্যক্ত শব্দ- কিছুটা হলেও নিবৃত্ত হয়েছে উইপকার
মত কোন প্রানের অস্তিত্তে প্রানহীন বিমূর্ত অপেক্ষার আড়ালে।


এমনি করেই বোধ হয় শেষ হয়ে যায় সময়, মৃত্যু ভাবনার
অপেক্ষায় সৃতি হয়ে যায় নিভৃতের জীবন, তারপর---