বসে ছিলাম ডাক্তারের আশায়,
জানি না যে কি ভাষায়
বুঝাব কি যন্ত্রণা হচ্ছিল বুকের মাঝে,
যার ব্যাথা সে-ই বুঝে।
কিছু রিসিপ্সনিস্ট বসে
কেবল হাজিরা খাতা ঘষে।
ডাক্তার তো দূরের কথা
হেথা-
নার্সের দেখাও পাওয়া ভার।
কি চমৎকার!
আমি এমনই এক দুর্ভাগা দেশের রুগী,
কি অসুখে আমি ভুগি
তা জানার আগেই ডাক্তার,
ঘচঘচ করে লেখেন ব্যাবস্থাপত্র
বলেন-আপাতত পরিক্ষা দশটা মাত্র।
এটা করে আসুন আগে
যান সম্মুখভাগে,
সব ব্যাবস্থা আছে প্রস্তুত।
অদ্ভুত!
আমার পরিক্ষা শুরু হল তাড়াতাড়ি,
টাকার অংকটা বেশ ভারি।
অনেক টাকা গেল খসে,
রিসিপ্সনিস্ট তখনও হাজিরার খাতা ঘষে।
আমার বুকে যন্ত্রণা কেন,
এ যেন-
আমার অপরাধ কাউকে ভালবেসে।
দিনের পর দিন অবশেষে
পেয়েছি ব্যাথা,
সে কথা
ডাক্তার মশাই না শুনেই
দিয়েছেন পরিক্ষা টাকা গুনে গুনেই।
জানি না এতে কোন পক্ষের লাভ,
হল কিনা কোন চিকিৎসার অভাব
কার কি এসে যায় তাতে ?
ডাক্তার মশাই ঠিকই ঘুমাচ্ছেন রাতে।
শুধু ঘুম নেই যে আমার চোখে,
আমি ভাল আছি যতই বলি মুখে।
তবুও ভুলতে পারি না প্রথম ভালবাসা,
মনের ভেতর তার নিত্য যাওয়াআসা,
চাই তাকে ভোলার চিকিৎসা,
চাই ঔষধ,
নৈলে যে বাড়ছে ক্রোধ।
বাড়ছে বুকের ব্যাথা দিনে দিনে,
ভালবাসার দামে কে আমায় নেবে কিনে!
আমার অসুখ যে এখন ভালবাসর,
অতি জরুরী তাই-
ভালবাসার মানুষ চাই,
চাইনা কোন হিসেবি ডাক্তার!!!