সকালের বিশুদ্ধ রোদে মুখ ধুয়ে ফেলে গতকালের
বাসি রাত। দেখি ঝক ঝকে প্রকৃতিতে বয়ে যায়
ফুর ফুরে বিশুদ্ধ বাতাস। তোমার দরজায় এসে কড়া
নাড়ে সকালের পায়ে চলা পথ। অথচ সকালের অলস
বিছানা তোমায় টেনে ধরে এক অদৃশ্য পাথর জড়তায়।


কত দিন, কত মাস, কত বছর চেয়েছি তুমি অবগাহন
কর সকালের ঐ বিশুদ্ধ বাতাসে, হেঁটে যাও পায়ে চলা
পথের কাছে, তোমার বড্ড বেসামাল শরীরটা যেন
তোমাকে আরও অসুস্থ না করে ফেলে। তুমি পায়ে পায়ে
একটু হাঁটতে শেখো, অলস বিছানা ছেড়ে তুমি বিশুদ্ধ
সকালের পথকে একটু ভালবাসতে শেখো।


সকালের শরীরে মেদ জমে না, বাতাসের শরীরে মেদ
জমে না, পায়ে চলা পথেরও মেদ জমে না। যতটা মেদ
জমে উদরপূর্তী খাওয়া শরীরে, যতটা মেদ জমে অলস
ঘুমের শরীরে, যতটা অলসতা জমে পায়ে চলা পথের  
শরীরে যার সবটাই অসুস্থতা আর কেবল অসতর্ক কান্না।


শীতের সকাল গুলো এসে চলেও গেল অথচ সকালের  
চন্‌মনে রোদ গায়ে মাখা হ’ল না, ফাগুনের আনচান করা  
অভিসারি বাতাস চারিদিক বয়ে গেল অথচ সে বাতাসে
শরীর জুড়ানো হ’ল না, কত পথ এসে তোমার পথের সাথে
মিশে গেল অথচ তার একটি পথো পায়ে মাড়নো হ’ল না।

আসছে বৈশাখে নিশ্চয় দেখব অলসতা, ঘুম আর মেদহীন
শরীর নিয়ে তুমি হেঁটে গেছ নুতন সকালের মঙ্গল যাত্রায়
চারুকলার রংবাহারী মিছিলে, নিশ্চয় দেখব তুমি অসুস্থতা
আর কান্নাকে দূরে ঠেলে হাঁটছ পথের আগে, বিশুদ্ধ বাতাস
আর সকালের রোদ নির্ভার বসে আছে তোমার প্রতিক্ষায়।