ক্ষয়ে যাওয়া শীত, মধুরিমা বসন্ত অপেক্ষা,
সৌভনিক ফাল্গুনি সকাল, মেহেগনি শাখার
শুষ্ক পাতা বৃষ্টি। এবার বসন্তে একটি ঝরা
পাতা ছুঁয়ে ছিল আমার অস্তরাগের শরীর,
আমার পেলব দৃষ্টি। এমন তো হতেই
পারে, তবুও এবার যেন কি এক ত্রিমাত্রিক
ভাবনায় ত্রস্ত হলাম!


তবুও খুব শিহরিত হচ্ছিলাম, এ যেন  
বসন্ত আমায় ছুঁয়ে গেল বলে। আর ভেতরে
খুব আলোড়িত হচ্ছিলাম, এ যেন বসন্ত
আমায় আলিঙ্গন করল বলে। এ যেন
এক অন্য রকম ভাললাগা, অন্য রকম
শিহরণ, অন্য রকম আলোড়ন। যদিও
তোমায় সাথে করে অনেক বসন্ত পার
হয়ে গেল জীবনের সঙকুল সড়ক ধরে।


কি ছিল ঐ একটি ঝরা পাতার বুকে সুদূর
অতীত নিয়ে প্রকৃতি কাব্য, কি গল্প ছিল ঐ
একটি ঝরা পাতার পৃষ্ঠায় শুন্যে ঝরে পড়ার
সঙ্কোচ সময়। অথবা কি এমন গহ্বর বার্তা
দিয়ে গেল ঐ একটি ঝরা পাতা আমার
ঘন সবুজ মনের উপর আছড়ে পড়ে?


আমি ক্ষয়ে যাওয়া শীতের শত উষ্ণতায়
ভাসলেও, ভেতরে ভেতরে কি এক আলোড়নে  
হচ্ছিলাম জমাট বরফ। আমি ফাল্গুনি সকালের
রোদ ঝলমল হৃষ্ট বাতাস গায়ে মেখে বসন্ত
শিহরণ অনুভব করলেও কি এক দুর্ভাবনায়
সেঁটে যাচ্ছিলাম নিঃসঙ্গ ঝরা পাতাটির সাথে।


তবুও তো এখন বসন্ত। কত বাসন্তি অপেক্ষায়
ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাচ্ছে তোমার ফাগুন শাড়ীর আঁচল।
পাতা ঝরা উদ্যান, পর্যটন সড়ক তোমার ভাল
লাগছে। স্নিগ্ধ ছায়ার সাথে ঝরা পাতার আবগারি
মাদকতায় তোমার সাথে ভেসেছি বিগত অনেক
বসন্ত। তবুও ভাবতে হচ্ছিল কোন এক বসন্তে
তোমাদের অনেককে ছেড়ে আমি সঙ্গী হব কোন
একদিন ঐ পাতা ঝরাদের দলে!