কিছু মরা কুয়াশা নগর সভ্যতার পেট্রলের ধোঁয়ায় মিশে এখনও  
বিদায়ী শীতের সকালকে ভরিয়ে দিচ্ছিল “হাতির ঝিল পাড়”
ধোঁয়া ধোঁয়া মগ্নতায়। অদূরে উড়ছিল কিছু কাক, তার আরও
উপরে উড়ছিল ক্ষুধার্ত কিছু মৌন চিল। তখন সদ্য আলো ফোটা
নাগরিক সকাল।


নীচে ঝিলের জলে দেখি মাছেরা দম বন্ধ হয়ে মরে বিশুদ্ধ
জলবাতাসের জন্য।
প্রকৃতি চায় সবুজ বন,
নগর চায় কংক্রিটের উন্মোচন।
ঝিলের আঁধার চায় বিশুদ্ধ জল,
নগর চায় নর্দমার চলাচল।
মাছ চায় নিরাপদ সাঁতার,
নগর চায় নোংড়ার আঁধার।


আমি ঝিলের পাড় ঘেঁষে পড়ে থাকা কংক্রিটের বেঞ্চিতে গিয়ে বসি।
ঝিলের সাথে নির্জনতার একটা মাখামাখি থাকলেও এখানে তার
বড্ড অভাব। নাগরিক গতির দুরন্ত শব্দে পিচ ঢালা পথ কাঁদে
পর্যটকের পায়ের জন্য। দেখি বন্য সবুজের বড্ড অভাব, ঝিলের পাড়
কাঁদে ছায়ার জন্য।


অদূরে দেখি কটকটে কংক্রিটে কিছু দলছুট কিশোর ক্রিকেট বল
ব্যাটে মত্ত। মনে পড়ে যায় ক’দিন পর টি-২০ বিশ্বকাপ। পারবে কি
বাংলাদেশ, পারবে কি মুশফিক বাহিনী? আমি আনমনে নিজেই
ছুটে যাই ঐ দলছুট কিশোর ক্রিকেট দলের কাছে কি এক উত্তেজনায়,
পেছনে পড়ে থাকে ঝিল পাড়ের কবিতা।