শত চেষ্টার পরও রুগীকে বাঁচাতে না পারলে অনেক সময় সম্মানিত ডাক্তারগনকে বিভিন্ন বিড়ম্বনায় পড়তে হয়, যা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। ডাক্তারদের অনুরোধে এমন পরিস্থিতির উপরে এ লিখা, এতে সুর দেয়ার চেষ্টা চলছে...
.......................................................................................


আমি ডাক্তার, আমি ডাক্তার
পৃথিবী যখন থাকে ঘুমিয়ে,
আমি জাগি রাত্রি প্রহর
আর রাত্রি জাগে ঝিমিয়ে।
আমি ডাক্তার আমি করি রুগীর সে-    
আমি ডাক্তার আমি করি বিশ্ব মানব সেবা।।


আমি দেখি না কখন শীতের হাওয়ায় পাতারা গেছে ঝরে
আমি দেখি না কখন প্রকৃতি আবার সবুজে উঠেছে ভরে
আমি দেখি না কখন পূর্ণিমার চাঁদ আহ্লাদে ছিল মেতে,
আমি শুনি না প্রেমের গান জোয়ার-ভাটায় কান পেতে,
আমি দেখি না অনেক কিছুই, শুনি না এমন অনেক কিছুই
ভালবাসার ছবি, প্রেমের কবিতা কঠিন এ জীবনের পরতে।
ভালোবাসা ফিরিয়ে দিতে আমি দেখি কেবল মানুষের কাতরতা,
হাসি ফুটাতে সবার মুখে আমি দেখি মানু্ষের অসুস্থতা- সুস্থতা।  
আমি শুনি মৃত্যু ভয়ে মানুষের আকুলতা,
আমি দেখি মৃত্যুর কাছে ডাক্তারের বিহ্বলতা।
আমি ডাক্তার আমি তবুও করি রুগীর সেবা-
আমি ডাক্তার আমি তবুও করি বিশ্ব মানব সেবা।।


আমি ডাক্তার আমিও তো রক্তে মাংসে গড়া মানুষ
বাঁচা মরার মঞ্চে দাঁড়িয়ে হোই না কখনো বেহুঁশ।
তবুও কখনো শত চেষ্টাতে জীবন যদি যায় হারিয়ে,
স্রস্টার কাছে তখনো থাকি শুন্যে দ’হাত বাড়িয়ে।
এ আমার নয় অপারগতা, আমি যে মৃত্যুর কাছে অসহায়,
এটা না বুঝেই কেউ আমায় করছ আঘাত রক্ত ঝরার ভাষায়।
তোমরা কেন বুঝো না, আমি এ মাটির সন্তান এ দেশের সম্পদ,
আমাকে আঘাত করে মৃত্যুর মুখে ডাকছ কেন সর্বনাশা বিপদ।  
আমিও তো কারও আশ্রয় এ আমার জনপদ,
জীবন নিয়ে শুনছে না কেউ ডাক্তারি অভিমত।
আমারও ভালোবাসা আছে, আছে মৃত্যুর ভয়,
আমারো হাসি-কান্না আছে, আছে অভিমান বিস্ময়।
আমি ডাক্তার আমি তবুও করি রুগীর সেবা-
আমি ডাক্তার আমি তবুও করি বিশ্ব মানব সেবা।।