আমার প্রতিদিনের জানালার ওপারে অহংকারে এসে দাঁড়ায়  
বার মাস বিরাজিত অভিন্ন কবিতার স্বদেশ ভুঁই,
হৃষ্টপুষ্ট ফসলের আশায় আমি তা অতি যত্নে চাষ করি,
তাতে যত্ন করে প্রমিত আলোক শব্দের সুস্থ বীজ রুই।

সে মাঠে আকাশ নামে, বৃষ্টি নামে, সকালে সূর্য ওঠে,
রাতের সমুদ্রে চাঁদ হাসে, পায়ের কাছে দুলে ওঠে নদী,
বাতাসে ভাসে শীত-বসন্তের মুগ্ধতা, পাখীদের গান,
থাকে কোলাহল সকাল সন্ধ্যা, কখনওবা রাত্রি অবধি।


সে মাঠের পথ ধরে নিঃশব্দে একাকী আমি সন্তর্পণে হাঁটি-  
যেন উল্লাসে মেতে থাকা শহীদের না ভাঙ্গে প্রসক্তি ধ্যান,
স্বদেশ মুক্তির আশায় যারা ছেড়েছিল মায়ের নিরাপদ কোল,  
প্রেয়সীর ভালবাসা ভুলে- কাঁধে তুলে নিয়েছিল মেশিনগান।


তারপর দেখি সেখানে জন্ম নেয় একটা কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ,
জন্ম নেয় প্রেম, শ্রদ্ধায় ফিরে ফিরে আসে সোনালী অতীত,
স্বাধীনতার হাওয়ায় আকাশে ওড়ে লাল সবুজের দীপ্ত পতাকা
লাখো কন্ঠে গীত হয় ‘আমার সোনার বাংলা’ জাতীয় সংগীত।