আমি বসন্তের ভেতর আর এক বসন্ত খুঁজি।
যেখানে হা হুতাশ করা শুষ্ক মেঠো বাতাস
বয়ে যায় ধু ধু মরুর উদাসকে বুকে করে,
কখনও গেছো মাছির চিঁ চিঁ করা এক টানা
বিবাগী সুর বৈরাগী বুকের ভেতর খাঁ খাঁ করে,
শুনি নিষিদ্ধ বাসায় বর্গা দেয়া ডিমের খোলসে
নড়ে উঠা নতুনের আশঙ্কায় কোকিলের কন্ঠে
তীব্র ইমন ঠাটের গান কেমন বিরহ রাত্রির
প্রকৃতিকে ভাঙ্গে ঝুরে ঝুরে পড়ার জন্য।

আমি বসন্তের ভেতর আর এক বসন্তকে খুঁজি।
যেখানে উষ্ণতার মধ্যে হারায় শীতের পেলবতা,
পাতা ঝরা বিষন্ন বাতাসের শরীরে খুঁজে পাই
বাজখাঁই বিষাদের শব্দ, শুকনো ডালে খুঁজি লকলকে  
সবুজের জিহ্বায় বৈশাখী জলের পিপাসা, দেখি
মৃত প্রজাপতির রঙ্গিন পাখায় কি ভাবে কান্নায়  
ভাসে বসন্ত বাতাস- ফুল ফোটানোর আশায়।

আমি বসন্তের ভেতর খুঁজি আর এক বসন্ত।
যেখানে হিরন্ময় উদাস দুপুর খুঁজে জবজবে ঘামের
শরীর, বাসন্তী রঙ্গের আড়ালে বৈদগ্ধ শিশু সূর্যও
হয় বন্য তামাটে, রাতের নির্জন গন্ধে ভাসে
জ্যোস্নার প্রসব্য আলোর বর্ণ শেঁকা উষ্ণতা।
এমনই করে বসন্তকে খুঁজতে খুঁজতে শেষে বঙ্কিম
বসন্তে হারায় আমার বসন্ত বিলাসের বুদ্বুদে উল্লাস।