আমি বাসে বাদুড় ঝুলা শহুরে নাগরিক...
তড়িঘড়ি অফিস ধরতে ঠিক
সকাল নয়টায়, প্রতিদিন হয় লেট,
অফিস করিডোরে মাথা হয় হেঁট।
আর কত দেব অজুহাত,
এবার বুঝি চাকুরীটা হয় বেহাত।


জনগন ঝুলছে রাস্তায়, ঝুলছে জ্যামে, ঝুলছে বাসে,
ঝুলছে ঝুলুক, রাজনীতিও তো ঝুলছে ভোটের সর্বনাশে!
ঝুলছে দেশপ্রেম, ঝুলছে অর্থ নীতি,
চাকুরীটাও ঝুলছে তাতে কার কি ক্ষতি?
সুন্দর রাস্তাও তো ঝুলছে আকাশে,
দেশ ভাসছে তাই উন্নয়নের বাতাসে।
তাই ঝুলার অভ্যাস হোক প্রিতিদিন,
চাকুরী যায় যাক, তবু স্বপ্নটা হোক রঙ্গিন।
নইলে কারও গলায় ঝুলবে কোন মন্ত্রে?
ঝুলা ঝুলি না শিখলে কাজ হবে না প্রশাসনিক যন্ত্রে।


বাড়ছে মানুষ, বাড়ছে গাড়ি
এ সব নিয়ে কথার বাড়াবাড়ি,
অথচ বাড়ছে না শহুরে রাস্তা,
আমি ভুলেই গেছি এখন সকালের নাস্তা।
তবুও অফিসে প্রতিদিন হোই লেট,
কাকলী, মহাখালি, বিজয় সরিণি, ফার্ম গেইট,
কি ভয়াবহ  জ্যাম,
হায় রাধে-শ্যাম!
আমি কেন হলাম না রাষ্ট্রের কর্ণধার,
বাঁশি বাজিয়ে ট্রাফিক পুলিশ করত আমায় পার।
কি এসে যায় কোথায় কার হচ্ছে গভীর ক্ষতি,
আমার রাস্তা ঠিক আছে, আছে স্বাভাবিক চলার গতি।
ছিঃ! এ কেমন অসভ্য চিন্তায়- ঝুলছে এ পোড়া মন,
যেটা ঘৃণা করি সেটাকে ঘৃণা করাই হোক সারাটাক্ষন।