কাগজের ফুল,
মাটির পুতুল,
বাঘ ভাল্লুক হাতি ঘোড়া-
জিলাপি বাতাসা গুড়ের বড়া,
চরকি কিংবা নাগর দোলা,
জারি-সারি গান নাগরদোলা,
এখনো আমায় ডাকে,
রঙ্গিন সাজে শরীরটাকে ঢাকে।


বট তলার চৈত্র সংক্রান্তির মেলায়,
ঢাকের বাজনায় শরীরটাকে দোলায়-
বাজে বাঁশি বাজে বাংলা মায়ের ঢোল,
কবে যে ছেড়েছি আপন মায়ের গন্ধ কোল!
সংক্রান্তির মেলা এলে মনে পড়ে বড্ড বেশী,
সাধ করে তাই আজও কিনি পাতার বাঁশি।
বেলুনের বাঁশিতেও দিই ফু,
বুকের ছাতার বেলুন করে হু হু-
সেই ছেলে বেলা আরকি পাব ফিরে!
হারিয়ে গেল কেমন করে ধীরে ধীরে,  
পাই না খুজে ধরতে বাবার আংগুল- লোকের ভীড়ে,
মায়ের কথাও পড়ছে মনে তাল পাতার ঐ বাঁশির সুরে।


জানি থাকবনা আমি থমকে দাঁড়ালে বেলা,
প্রবাহমান থাকবে তবু চৈত্র সংক্রান্তির মেলা,
আগের মতই কাগজের ফুল,
ঘোমটা পরা মাটির পুতুল,
ডাকবে মেলায় মিষ্টি ইশারায়,
তখন আমায় খুঁজো হরেক রকম পসরায়,
আমি থাকব তাদের রঙ্গিন পসার ভীড়ে,
চৈত্র সংক্রান্তির মেলা যখন আসবে ফিরে ফিরে।