মেঘের উঠোনে বসে কাঁদে বেহুলা
কিভাবে বাঁচাবে লখিন্দর ভাসে না ভেলা।
নদীর পানি গেছে সেই কবে শুকে,
পিপাসায় বানী নেই কাষ্ঠ মুখে।
চেয়ে আছে হতবাক ধু ধু বালুর চরে,
নদীতে জল নেই নদী গেছে মরে।


ফটিক জলের পা ধরে কাঁদে বেহুলা,
সে কাঁদনে সুর মেলায় মৌসুমী বেলা।
তবুও যায় না দেখা আকাশে জলের মেঘ,
লখিন্দর হারা মনের মেঘালী আবেগ-
কি ভাবে ভাসাবে ভেলা বান ডাকা নদে,
যদি না সময় মত মেঘেরা কাঁদে!


হায় বুঝি সুয়ামীরে বাঁচানো গেল না আর,
কোথা গেলে পাবে ভাসা জলের আধার।
সাগরের কাছে জল চেয়ে করে মিনতি,
সাগর যে নয় ধারে কাছে দুরত্ব অতি।
চোখের জলেও ভরে না শুষ্ক নদীর গতি,
মাথা খুঁটে মরে তাই জগদীশ্বরের প্রতি।


( আয় বৃষ্টি ঝেঁপে, চাল দেবো মেপে...)