ভালো কবিতা লেখতে চাইলে, ভালো কবি হতে চাইলে ভালো মানুষ হওয়ার বিকল্প নেই। ভালো মানুষ হতে পারলে অনেক ভালো ভালো বরেন্য মানুষের সংষ্পর্শে আসা যায়। আর তাদের কাছা কাছি আসতে পারলে অনেক নতুন জীবনের ভাবনার সাথে পরিচয় হয়, যা মননকে উজ্জীবিত করে নতুন ভাবনার এবং পক্ষান্তরে কিছু সৃষ্টির বা লেখার। বলা যায় এটা পরশ পাথরের মতও। আল ঘরে আলোর ছোঁয়ায় যারা এসেছিল তারা এক বাক্যে এটাই মেনে নেবে বলে আমার বিশ্বাস। আমরা সেখানে আধুনিক কবিতার লেখন, পঠন, ধরন,  বরণ এবং চলন নিয়ে অনেক কথা বলেছি। আমি বার বারই বলতে চেয়েছি সারাটা সঞ্চালনের মুহুর্তে যে, কবিতা কেন ভালবাসব, কেন ভালবাসব বাংলা মাকে, বাংলাদেশকে, জাতীয় চেতনা বোধকে। আধুনিক কবিতা কখন আধুনিক হয়ে উঠবে, কি করলে তাকে আধুনিক কবিতা বলব, কি ভাবে সাজালে শক্ত শক্ত শব্দ ছাড়াও সহজ শব্দেও আধুনিক কবিতাকে পাঠকের মনে দোলা দিতে পারে।  
আমার সাথে আহসান হাবিব ভাইও এ ব্যাপারে সহমত পোষন করেন এবং আধুনিক কবিতার ধরন, সহজতা এবং সাবলীলতা সম্পর্কে অনেক গুরু গম্ভীর কথা বলেন। তিনি আমার উপমা টেনে ধরে আমার সাথে বরিশালে জীবনানন্দ (যিনি আধুনিক কবিতার বাংলায় জনক বলে বলতে দ্বিধা করেননি) তাঁর 'ধান শিঁড়ি' বাড়ির শেষ চিহ্ন টুকু সম্ভব হলে দেখে আসার বিনীত অনুরোধ রাখেন। আমরা হয়ত কোন এক সময় দল বেঁধে একবার বরিশালে গিয়ে ' বাংলা কবিতা'র আড্ডা জমাব বলে স্বপ্ন দেখছি। আমি কবিবন্ধু 'ডিজিটাল কবি' যেহেতু বরিশালের তাকে এ ব্যাপারে ভাবনা করতে বলেছি। এ ব্যাপারে বাংলা কবিতার আসরে বরিশালে অবস্থানরত অন্যান্য কবি বন্ধুদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। আশা রাখি তারা সাড়া দিলে সেখানে যাওয়া সম্ভব। যা হোক ০৭/০৬/২০১৪ তারিখে আসরে উপস্থিত সকল বন্ধুদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। বিশেষ করে 'ডিজিটাল কবি' বন্ধু যে সুদূর বরিশাল থেকে দুই দিন আগে মাকে বলে এসেছিল আমাদের এই আসরকে উজ্জ্বল করবে বলে। সাবাস কবি বন্ধু তোমাকে, স্রদ্ধা তোমার গরবিনী মাকে।
আর সবে ধন নীলমনি নারী কবিবন্ধু রিক্তা এবং তার ছোট বোন। খুব ভালো লেগেছে যে কবিতাকে কতটুকু ভালবাসলে তারা রাত্রি ০৯,০০ অবধি সাথে ছিল এবং নজরুলের কবিতা গড় গড় করে আবৃত্তি করে শুনিয়েছে আমাদের। অনেক ধন্যবাদ তাকে। তাই খুব বলতে ইচ্ছে হচ্ছে আরও দু'একটা নারী কবি বন্ধুরা থাকলে হয়ত ওদের আরও একটু ভালো লাগত। হয়ত আগামীতে সে আশা রাখতেই পারি।
আর একটা কথা না বললেই নয় আমি এবার বেশ মিস করছিলাম কবি বন্ধু সজীব এবং সরকার মুনিরকে। বন্ধু মুনিরকে তবুও ধন্যবাদ যে সে মোবাইল করে আসরে অংশ নিয়েছিল, কিন্তু সজীব কে ক্ষমা করতে কষ্ট হচ্ছে।
শিমুল শুভ্রর কথা কি বলব। সে সব সময় অনেক ভাবে সুদূর প্রবাস থেকে কত ভাবে যে যোগাযোগ করেছে আমাদের আড্ডার সাথে থাকতে, তা বলাই বাহুল্য। ও হয়ত জানে না -ও যখন কথা বলছিল আমি তার মোবাইল ফোনটা লাউড মুডে দিয়ে মাইক্রোফোনের সামনে ধরে সকলকে শুনিয়েছি তার মনের আকুতি আর বাংলা কবিতার বন্ধুদের জন্য ভালবাসা এবং স্বশরীরে থাকতে না পারার কষ্ট। শিমূলকে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করতে চাই না বরং বলতে চাই সে আমাদের সাথেই ছিল।
আর একজনের কথা বলতে হয় সে হল কবি বন্ধু শওকত আজাদ। আসলে ও সব সময় খুব উদ্দোমী কবি। ক'দিন হল আমাদের আসরে বন্ধু হয়েছে কিন্তু তার সাহিত্য শক্ত এবং রস অসাধারণ! ও আসরে গে্লে আমার যেতে ভালো লাগে। এবার হয়ত আসতেই পারতাম না আসরে, ও ভালবাসার হাতটা না বাড়ালে। কেননা সেদিন আমি দুপুর অবধি অসুস্থ ছিলাম। তাই অফিসেও যাইনি। কিন্তু আস্তে আস্তে বিকেলের দিকে একটু সুস্থতা বোধ করলে সেই আমাকে টেনে নিয়ে যায়, তা না হলে আড্ডা মিস, উপস্থাপনা মিস, কবি বন্ধুদের জন্য চমকের কথা বলে গান গাওয়া মিস হয়ে যেত। ধন্যবাদ আজাদ তোমাকে।
কবীর হুমায়ন ভাই অবশ্যি ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য, অনেক জীবনী শক্তি এই কবি বন্ধুর এ বয়সেও। এমন কি তাঁর ছেলেকেও অনেক সহযোগীতার হাত বাড়ানোর জন্য আসরে এনেছিলেন। উনার সন্তানের জন্য রইল অনেক আদর। আর কবি বন্ধুটি আমার সব সময় বলেছেন আমরা বৃদ্ধ হয়ে যাচ্ছি তরুন্দের এ কাজ এগিয়ে নিতে, আমি সকলের হয়ে বলেছি যত দিন তাঁর ভালো লাগবে ততদিন মানে প্রয়োজনে তিনি আজীবন আহবায়ক আমাদের আড্ডায় ডাক দেয়ার জন্য। উনি সিত্যিই অসাধারণ একজন ভালো মানুষ।  আর এ কারনেই একজন ভালো কবিও বোধ হয়, যা আমি প্রথমেই বলতে প্রয়াস পেয়েছি।
পরিশেষে এডমিনকে ধন্যবাদ না দিলে আরও অনেক কিছুই অসমাপ্ত থেকে যাবে। উনি যে কতটা ভালো মানুষ তাকে চোখে না দেখলেও শুধু মোবাইল ফোনে কথা বলতে পেরে এবং সকলের জন্য অভিনন্দনের কথা শুনতে পেরেই বুঝেছি। এ এমন যেন-' তারে আমি চোখে দেখিনি তার অনেক গল্প শুনেছি, গল্প শুনে তারে আমি অল্প অল্প ভালো বেসেছি' জয় এডমিন, জয় 'বাংলা কবিতা'...।