অনেক প্রতিক্ষায় আকাশ এবার খুলেছে বর্ষা কপাট,  
হোক না চোখের পলকে মহামারি অন্তহীন লোপাট
গ্রীষ্মের মুঠো মুঠো শুষ্ক কঠিন বিষন্ন জেদী রোদ।  
আষাঢ়ের ঘনকালো মেঘ বৃষ্টির জলে নেবে প্রতিশোধ
তপ্ত প্রকৃতির অনুক্ষন দীর্ঘ আহাজারি অনুকূলে,  
ভরবে মরু মাঠ অকুন্ঠ ফুল আর পুষ্ট মানের ফসলে।


আবার একটা কাক ভিজবে বাড়ির কার্নিশে,
ঘনঘোর বর্ষায় ভিজে ভিজে আলগা পানি সে-  
মেঘলা রোদে শুকিয়ে নেবে পালক মেলে।
আবার কিছু নতুন বউ আনমনে যাবে ভুলে-
চিলেকোঠায় নাড়িয়ে দেয়া শেষ বিকেলের কাপড়
ভিজবে সন্ধ্যার আলোয়, মনে পড়তেই উঠবে ফাঁপর।  
সংসারী ছলা কলায় বর্ষাকে অনেক করে দুষবে,
তবুও মনের মধ্যে মেঘ ডাকা শিহরণ পুষবে।


আবার ঠক্‌ঠকে ডাঙ্গায় ঊপর হয়ে পড়ে থাকা
স্থবির স্বপ্নের জীবন ফেরানো শত শত নৌকা
ভাসবে, খাল বিল থৈ থৈ নদীর নব্য ভাসা জলে।  
আবার চঞ্চল হবে গঞ্জের হাট গৃহস্থ চলাচলে।
বেদেনীর পসরায় দুলবে কানের দুল,  রেশমি চুড়ি,
নতুন বউয়ের আনচান বুক খুঁজবে বাপের বাড়ি।
নায়র যেতে প্রতিদিন সাজবে, প্রতিক্ষা অনুমুতির,  
কত ভাবনায় জোগাবে মন বর্ষায় ব্যস্ত পদ পতির।


বর্ষার জন্য তাই এত অপেক্ষার উন্মত্ত সুখের প্রহর,
এত আয়োজন, কত শত স্বপ্নের দীগন্ত রঙ্গিন শহর।
ঘামে ভিজে তবু ক্লান্তিতে পেতে চায় বৃষ্টির ছোঁয়া,
ঘন বর্ষার ঝিম বৃষ্টিতে হোক না দৃষ্টি ধোঁয়া ধোঁয়া ।
তবুও ভরবে মাঠ, জমবে হাট বিচিত্র কোলাহলে,
শ্বশুর বাড়ি থেকে বাপের বাড়ি হবে এক সমতলে।
আবার বুকের মধ্যে জন্ম নেবে নতুন ধৈর্যের মোহ,
বর্ষা অন্তে ফি বর্ষার আগে যতই আসুক গ্রীষ্ম দাহ।  


~~~~~~~~~বরষার আয়োজন~~~~~~~~