চোখ কি আর ফেরানো যায়? চোখ ফেরানো গেলেও মন
কি আর ফেরে। আর সে দৃশ্যপটের অনুষঙ্গ যদি হও তুমি,
তাহলে তো সেখান থেকে এ দু’চোখ ফেরানও দায়!


কোনটা বলব- উতল হাওয়ায় উড়ানো তোমার এলো চুল,
কপালে রাঙ্গানো সুর্যটিপ, সুভ্র মুক্তো ঝরানো হাসি, টোল
খাওয়া কপোলের কালো তিল, নাকি- কাজল ভ্রমর চোখ।


কোনটা দেখব- কানের লতিকায় ঝুলানো দুল, সুরেলা বাঁশির
নাকে নাক ফুল, রাজ হংস কন্ঠে জড়ানো মতির মালা, মৃগয়া  
কোমরে দোলানো রুপোর বিছা, নাকি-রাঙ্গা পায়ে চুর জলনূপুর।


আকাশকে দেখতে অপেক্ষায় থাকতে হয় দিন-রাত, সাগর,
পাহাড়, প্রকৃতি দেখে দেখে উদাস শিহরণে হারিয়ে যেতে হলে
সময় ও দূরত্বের জন্য অপেক্ষায় গুনতে হয় প্রতিক্ষিত প্রহর।


অথচ একই অঙ্গে যার এত রূপ- সেখানে প্রকৃতি, আকাশ,
পাহাড়, সাগর, দিন রাত্রি দোল খেয়ে যায় অনুক্ষন, যার
জন্য পাগলামীতে পাগল স্বয়ং দেবতা, সে রূপ দেখে দেখে  
মন ফেরান তো যায়ই না, চোখও কি ফেরে তার পলকে!