পদ্মার বক্ষে ঘন কুয়াসায় পেট ভর্তি মানুষ আর
গন্তব্যের যানবাহন নিয়ে ফেরী শাহ্‌-মাখদুম যখন
পথ হাতড়াচ্ছিল তখন সবে সন্ধ্যা গড়িয়ে গাঢ়
অন্ধকার।সার্চ লাইটের তীব্র ছটায় সারেং বার বার
হারিয়ে ফেলছিল বাতি ঘরের নিশানা।


সলীল সমাধির আশঙ্কায় কিছু ভয়ার্ত মানুষ ছিল
বাক রুদ্ধ, কিছু ঘুমে মগ্ন, কিছু সস্তা রাজনীতির
আড্ডায় উত্তেজিত, যাদের ভয় এখন নদীর মতই  
বালুচরে ঢাকা। আর আমি তখন ইনিয়ে বিনিয়ে
শুনতে চাইছিলাম তোমার শেষ উত্তর, তুমি আমাকে  
ভালবাস- হ্যাঁ অথবা না।


অথচ এই তুমি সেদিন এক অনির্ধারিত বৈকালী
আড্ডায় বিলম্বীত ভেজা কন্ঠে বললে- আমাকে ছাড়া
তুমি বাঁচবে না। হয়ত এমনও হতে পারে অন্যথা তুমি
আত্মহননের পথ বেছে নিতে পার। এমন অলুক্ষুনে
ভাবনার গায়ে আমি তীব্র আঘাত করেছিলাম। আর
তখন তুমি ভাসছিলে বাঁধ ভাঙ্গা চোখের জলে।


এর পরও কি কিছু থাকে আর জানার- কেউ ভালবাসে
কিনা? তবুও এ এমনই এক হৃদয় নিংড়ানো চাওয়া,
এ এমনই এক বসন্ত আবেদন, এমনই এক মধুর প্রতিক্ষিত  
শিহরণের শব্দ যা প্রেয়সীর মুখে বার বার শুনতে ইচ্ছে হয়।
সেখানে একবারও না শুনলে কি আর প্রেমের বয়স বাড়ে?
বরং ভালবাসার নদীর বুকে জাগে চর, বাতি ঘরও
কূলহারা ঠিকানায় থাকে নির্বাপিত।