দেখো তো চিনতে পার কিনা? মনের ভেতর থেকে আমি
আজও তোমার প্রথম দেখার সেই অতি সাধারণ সাদা-মাটা
মানুষ। যার গার্হস্থ্য গায়ে এখনো মাটির গন্ধ। কাব্য কন্ঠে
এখনও আত্মিয়তার প্রান্তিক টান। সেখানে আজও লাউ ফুলের
শুভ্রতা খেলা করে- জীবনের সকল রঙ্গকে নিয়ে রঙ্গিন
প্রজাপতির সাথে।


বাহ্যিকভাবে চোখে ভারী ফ্রেমের চশমা, বলতে পার এখন
চার চোখ আমার। দু’চোখে তোমাকে দেখতে ভুল করলেও
এবার নিশ্চই আর ভুল হবে না আমার তোমাকে চিনতে।
চিবুকে শুভ্রতার ছায়া, মেয়েলী কন্ঠটা এখন বেশ ভারী।
লোমশ বুকের আড়ালে সীমারের প্রতিচ্ছবি প্রথম জীবনের মত
এখনও উধাও। গায়ে-গতরে যৌবনের  ভাটার ছাপ পরিলক্ষিত
হলেও আমি এখনও সোজা হয়ে দাঁড়াই।


দেখো তো চিনতে পার কিনা? হাসলে সেই আগের মতই এখনও
গালে টোল পড়ে, গ্রীবায় কালো তিলটা এখনও আছে। সময়ের
ব্যবধানে আয়তনটা একটু বাড়লেও ঐ তিলের রঙ্গটা একটু মেঠো
ফ্যাকাশে হয়েছে হয়ত। ডান হাঁটুর নীচে সনাক্তকরণ চিহ্নের যে
পোড়া দাগ দৃশ্যত তা এখনও স্পষ্ট। লজ্জার কোনখানে একটা
জন্মের দাগ ছিল! ওটা শেষ চিহ্ন হিসেবে তোমার জন্যই থাক-
প্রয়োজনে আমাকে শেষবারের মত খুঁজে নিতে।