অভিসার হবে কোথায়, কোন প্রকৃতি অথবা বিশ্বাসের আঙ্গিনায়
তা নির্ধারণ ছিল আগে থেকেই। তার দিন, ক্ষণ, বাহন, রঙ আর
আগমন, পথ কিংবা পথের  আচরণ তার সব কিছু। তবুও প্রেমিক
প্রেমিকার জন্য অথবা প্রেমিকা  প্রেমিকের জন্য থাকে অস্থির। প্রতিক্ষা
যেন তিক্ততায় ভরে উঠতে চায়। আবার তা অবদমিত হয় যখন হাতের  
ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে এখনও সময় বাকি অথবা সময় পেরিয়ে গেলেও
দেখিনা আর একটু সময়। তবুও অভিমান অঙ্গার অস্থিরতায় বাড়ে আর বুকের
মধ্যে খেলা করে এক শীতল পেংগুইন অনুভূতি।


কেন এখনও সময় হচ্ছে না, কেন এখনও তার ছায়াও দেখছি না
দূর আগমনের পথে। কখনও মনে হয় আজ যেন পূর্ব নির্ধারিত সড়কে
লোকের  আনাগোনাও গেছে বেড়ে। কি কথা হবে, কি ভাবে কথা হবে,
কে আগে কথা বলবে, কি কথা  বলতে পারে। অথবা কি হবে তার উত্তর,
যদি উত্তরের প্রতিক্রিয়ায় ভাংগে ভালবাসার কাঁচা কার্নিশ, তা-ইবা বুঝব কি করে।
কি মুশকিল! কে বলেছিল প্রেম  করতে, কারও জন্য অপেক্ষায় অভিসারে অস্থির
প্রতিক্ষায় সময় গুনতে? প্রেম করাও যেন বড্ড ঝামেলার। আবার কেউ কোন দিন
ভালোবাসলো না এটা ভাবতেও অনাহুত কষ্টরা করে মশকরা যৌবনের ঢেউ নিয়ে।
তবুও যেন ভালোবাসা তো ভালোবাসা-ই, প্রেম তো প্রেম-ই!


অথচ মেয়ে, কেবল মেয়েই বা বলব কেন, হে যুবক তোমরা জেন রেখো-  
অভিসারের জন্য কারও পথ চেয়ে অস্থির ভাবনায় যদি ভালবাসার আলাপ
বুনে বুনে প্রতিক্ষায় পায়চারি না করলে, যদি সময়ের কথা ভেবে ঘড়ির কাঁটার
দিকে চোখ না রাখলে ঘন ঘন, যদি না উত্তেজনার ডানা ঝাপটিয়ে ঘেমে উঠলে
বুকের ভাঁজে, যদি না অভিমান ভেঙ্গে হারালে দু‘বাহুর বৃত্তে, তাহলে তাকে ভালবাসা  
বলে না, তাকে প্রেম বলে না।  আর বিশ্বাস? সেতো  শুকনো গাছের গোড়ায় বাকলে
তখনও চিম্‌টি দিয়ে দেখা শেষ সম্ভাবনার কুশি গজাবে কিনা! তাই বিশ্বাস রেখো অটুট।