এ কেমন তুইরে!
প্রকৃতি সুর্যটাকে মেঘের থলেতে পুরে কত বর্ষায়
জলে থৈ থৈ করল তার খাল বিল নদী।
কত নৌকা উজান থেকে ভাটি আবার ভাটি থেকে
উজান গেল। অথচ তোর উজান বাওয়া নৌকা
অভিমানের ডাঙ্গা থেকে ভাসল না গভীর প্রেমের ভাটি জলে।


এ কেমন তুইরে!
কষ্ট ভালবাসার মানে কি কাউকে কষ্ট দেয়া।
রুমাল ভরে চোখের লোনা জলের যে গন্ধ
ধুয়ে দিতে পারেনি কোন বর্ষা, হয়ত কোন দিন
পারবেও না। এমন কি তোর প্রতিক্ষিত কামনার
বৃষ্টিও যদি হয় রাত্রির দোসর।


এ কেমন তুইরে!  
বর্ষার নেংটো জলে ভিজবি বলে বসন্তের আলাভোলা
দখিনা বাতাস, মুখোমুখি যৌবনা চাঁদকে করলি উপেক্ষা।
অথচ বর্ষার একটানা বৃষ্টিতে তুই এখন কাতর,
ঘরকুনো বিরক্তি তোর শিয়রে; কেমন আনমনা ক্ষণ গুনছে
দিনের পর দিন।


এ কেমন তুইরে!
ভালোবাসার উঠোন- মেঘ বৃষ্টি রোদের সজ্জ্বায়
আজীবন সাজায়ে রাখবি বলে হৃদয়ের জমিন করলি চাষ।
অথচ বানের জলে বসত ভিটা ভেসে গেছে বলে
তুই ভুলে গেলি চোখের পাতায় তুলে রাখা স্বপ্নময়
রসালো ফলের বীজের কথা।


এ কেমন তুইরে!
যদি ভুলেই যাবি আমাকে, তাহলে শেখালি কেন
ভালোবাসা, শেখালি কেন হৃদয়ের আঙ্গিনায় আগামীর
চাষাবাদ। জড়িয়ে ধরলি কেন হাতের মুঠোয় রসালো
ফলের বীজ, সাজালি কেন চোখভাসা বর্ষায়
মেঘ বৃষ্টি রোদের উঠোন।