একটি বর্ষণমুখর রাত আমার কাছে চেয়েছিল নিরাপদ আশ্রয়।
সে জানত মৌসুমী আবহাওয়ার পূর্বাভাস। তাই সময় ফুরিয়ে
গেলে তাকে ফিরে যেতে হবে অহল্যা ভিটে ছেড়ে নিঃসীম আকাশ
থেকে শুভ্র পর্দার গভীরে, চলে যেতে হবে ভিন্ন কোন চরাচর প্রান্তে।


সে হয়ত জানত আমার চোখ জুড়ে যে অনিয়মের বর্ষণ তাতে
কোন মৌসুমী পূর্বাভাস লাগে না, এ বর্ষণের জল পেতে মেঘের
কালো পর্দার উন্মোচন লাগে না, মহীরুহ এ বর্ষণের ধারা সুখ দুঃখের
পেন্ডুরাসের মোড়কে সাজানো। তাতে কর্পোরটের পরিবেশ লাগে না।


সে হয়ত আরও জানত কারও প্রবাসি প্রতিক্ষায় কতটা বছর কান্নায়
কেটেছে আমার রাত। আবার  কখনও তার আগমনের সুখ বার্তায়
আনন্দে ভেসে গেছি চোখের জলে। অথচ মূর্তিমান তাকে আজও
কাছে পেয়ে ছুঁয়ে দেখা হল না। বলা হল না বর্ষণমুখর রাতের গল্প
কেন এত পূর্ণবয়স্ক।


আমি কাঁদি এখনও কাঁদি। তবে এখন আর চোখে জল নেই,
ভেতরে কেবল কান্নার ক্ষরণ। চোখে মরুর খরা, তবু মুখে আনন্দের
ছাপ, বুকের ভেতরে গভীর কষ্টের বর্ষণ। এ ভাবে বেশী দিন বাঁচা
যায় না। তাইত ঐ বর্ষণমুখর রাত চেয়েছিল আমার কাছে নিরাপদ
আশ্রয় নিয়ে আমাকে চোখের জলে ভাসাবে।


অনিয়ম হবে বলে তাকে আমি ফিরিয়ে দিয়েছি। বলেছি-আমাকে
আমার মত কাঁদতে দাও। ফিরে যাও অন্য কোথাও যেখানে তুমি যাবে
বলে আমার মত কতশত বিরহী আছে কান্নার প্রতিক্ষায়। তাই আশ্রয়
নয়, চাই আশীর্বাদ। কান্না নয়, চাই কাঙ্ক্ষিত কামনার রাত। চাই নিয়মের
মধ্যে অনিয়ম করা কান্না বিরহ, প্রেম আর ভালোবাসা।