আমি কাকরলের চিরুণী বুলিয়ে তার ঘীয়ে রঙ
ফুলে সাজাবো তোমার ঝুলুনী খোঁপা। দেখব তাতে
চাঁদ কেমন ঝুলে থাকে তোমার মেঘ রঙ চুলের ফাঁকে,
যেমন বরষায় খন্ড মেঘের আকাশ।


মেঘেরা কি জানেঃ আকাশ মেঘে ছেয়ে গেলেই
চাঁদ উঠা থাকবে না বন্ধ। বরষার বৃষ্টি কি জানে
সারাটাক্ষন অঝোর ধারে ঝরলেই জোছনার বৃষ্টি ঝরা
হবে না উধাও- তোমাকে বিরস করে।


বৃষ্টির পানি ঢালুতে গড়ালেওঃ প্রতিক্ষাতে চেয়ে থাকব
কখন চন্দ্রগ্রহন লাগে তমার আলগা খোঁপায়, কখন
রাত্রির অন্ধকারেরা হারায় আসন্ন অমাবস্যায়। আমি তাই
উজানে বসেও জোয়ারের আশায় থাকব চেয়ে।


মেঘ বৃষ্টি আর জোছনার সাথে আমার নিত্য জানা শোনা।
দেখি জোছনাকাতুর প্রকৃতিও হারিয়ে যায় কাকরলের
ঘীয়ে ফুলের রঙয়ে রাতকে দিন ভেবে। মৌমাছিরাও
গুনগুনিয়ে উঠে চঞ্চল ফুলে মধুর আশায়।


তবুও মনে হয়- তোমার রুপের রসায়ন বর্ণনায় চাঁদ
মেঘের গভীরে লুকাতে চাইলেও এ যেন যতেষ্ঠ নয়।
মনে হয় আরও কত কি বাকী আছে, ঐ রুপের বর্ণনায়
কত কি বাকী থেকে যায়। আমি তাই আসামি হয়ে
দাঁড়িয়ে থাকি ভালোবাসার কাঠগড়ায়।