আজব এ শহর বড্ড আজব,  
জ্যাম আর বন্যাজলে এ কোন গজব !
করের টাকা তবুও চাপছে বিনা আয়ে,
নিজের কুড়াল মারছি এখন নিজের পায়ে।  
কোন ভূতে যে কিলিয়েছিল করতে ঢাকায় বাস,
অবসরে পিছন ফিরে দেখি- একি সর্বনাশ !
নিজ দেশে নিজের ঘরে থেকেও পরবাসি,    
আমি তবু গর্বিত এক বাংলাদেশি।


আয় নেই তবু আয়করের লম্বা মাশুল,
বছর শেষে মার প্যাঁচে গুনছি বহুল
টাকার অংকে- কোনটার যে কেমন মশুক!
জ্যাম আর বন্যার জলে নগর যতই ভাসুক
নিবন্ধনের গেঁড়াকলে আমি নগরবাসি
আমি তবু গর্বিত এক বাংলাদেশি।


করের টাকা গুনতে হবে বছর শেষে,
নইলে আইন ধরবে তোমায় ভীষণ কষে।
অবসরের হুতাশ জীবন উর্দ্ধমুল্যে পিষ্ট রোজ!
দিন কাটছে কেমন করে কে রাখে তার খোঁজ ।
নুন আনতে পান্তা আমার ফুরায় কিনা-
রাজা রানির এ সব শুনতে বড্ড মানা।
নিবন্ধনের খাতায় আমি নিবন্ধিত আসামি,
তালিকাভুক্ত আমি সালা এক জঘন্য হারামি।
গ্রাম ছেড়ে তবুও কেন নগর যে ভালোবাসি-
আমি তবু গর্বিত এক বাংলাদেশি।


মাঝে মাঝে কষ্ট বুকে তাই মাকে মনে পড়ে,
চলে যাব নিজ গ্রামে এই আজব শহর ছেড়ে।
থাক পড়ে সব বিষয়আশয় সম্বল সম্পত্তি,
পরিবার পরিজন আর সন্তানেরা করে আপত্তি।
কি করে বুঝাই নিঃস্ব মনের ক্ষেদ,
রাজা রানির প্রজার এই যে ভেদাভেদ,
মনের মধ্যে এ সব নিয়েই কষ্টগুলো পুষি,  
আমি তবু গর্বিত এক বাংলাদেশি।


এ ভাবেই অবসরে কাটছে এখন জীবন,
ভাবছি বসে শুন্যে কখন টানবে আমায় মরণ!
রাজউক প্লটে আর কোনদিন উঠবে কিনা ঘর,  
রাজার কাছে কিছুই চাইনা চাই তাতে এক কবর।
শহর ছাড়া যাওয়াই যখন হল না আর গ্রামে,
কর খেলাপির দায়ে না হয় থাকুক আমার নামে-
এই মাটিতে গর্বিত এক বাংলাদেশি শুয়ে,
রানির মায়া না হোক, প্রজার মাথা আসুক  নুয়ে।
আমার মতই আছে যত ভুক্তভূগী,
নগরে যারা করছি বাস নগর রোগের রুগী-  
রোম পুড়ার মতই ঢাকায় নিরু বাজাক বাঁশি!
আমি তবু গর্বিত এক বাংলাদেশি।