গতকাল কবিবন্ধু অজিতেশের জন্মদিন ছিল। তখন মনে পড়ে গিয়েছিল আজ আমার জন্মদিন। এক দিন আগে পরে। ১২ টা ১ মিনিটে দেখি মেয়ে আমার কেক নিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে হাজির। ওর মা’ও আঁচলে মুখ মুছতে মুছতে একটা ছোট্ট হাসি দিয়ে হাজির। আমি ঘুমিয়েই গিয়েছিলাম।  এবার ঘটা করে কেক কাটা। তার পর থেকে বন্ধুদের জন্য একটা কবিতা লিখতে ইচ্ছে হল। মা’র দেয়া তথ্যমতে যদিও জানতাম আমার জন্ম এই আশ্বিনে। তবুও মা’র আদর পেতে জিজ্ঞাসা- আম্মা কবে জানি আমার জন্মদিন? একটা হাসি দিয়ে আদর মাখা মা’র মধুর কন্ঠ- "এই দেখ ছেলে বলে কি! এ মাসেই তো বাবা। কে আসবে আর না আসবে জানি না, তুই চলে আয়না বাবা।" আর কি থাকা যায়! তাই ঈদের পর দিনই ছুট্‌ছি মা’র কাছে। আমাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাও না জানাও,  সকলকে ধন্যবাদ এবং ঈদের শুভেচ্ছা...  
........................................................................


বছর ঘুরে আজ আমার শুভ জন্মদিন
তবু আমি কম্ম নিয়ে সারাটাদিন ব্যস্ত,  
ব্রহ্মচারী ব্রহ্মা আমি তো আর নই-  
শিন্নীতে ভরবে দুই চরণ দৈর্ঘ-প্রস্থ।


কোন এক আশ্বিনী ভরা সন্ধ্যায়
সাবধানী যজ্ঞ আয়োজন সমাপ্তিতে,
আযান ছিল কন্ঠে আল্লাহু আক্‌বার
আমায় নিয়ে কোলে চরম প্রাপ্তিতে।


সেটাই ছিল যৌবনা মা’র কাছে
বাবার থেকে অকৃত্রিম কৃতজ্ঞতা,  
আমায় নিয়ে জন্ম দিনের মানে
ঋণের সাথেও মনের নিগুঢ় সখ্যতা।


এর পরে জন্মদিন যে গেল ক’টা  
ঘটা করে আর হয়নি জানা সংগ্রামে,
জীবন যুদ্ধে লড়াই করে থাকতে বেঁচে
শহর থেকে হয়নি ফেরা নিজ গ্রামে।


শহুরিয়া কালচারে তাই সন্তানেরা
সন্ধ্যা রাতের প্রস্তুতিতে মাঝরাতে,
কেকের আধার আলোয় ভরে তুলে
আদর করে জন্মদিনের শুভেচ্ছাতে।


সেই সারিতে যোগ হয়েছে আজ বন্ধুরাও
সাধুরা সঙ্গে থাকবে কিনা কোনদিন,
জন্ম তো একবারই হয় মা’র নাড়ি ছিঁড়ে
আশ্বিনেরই এই বেলাতে আমার জন্মদিন।