নিড়ানী স্বপ্নের মত সাধের মেঠো অঙ্কুরিত ঢেলার কোন আগাছা নেই।
যতটুকু ছিল চিন্তার আইলের পাশে উপড়ে রাখা শেকড়ের জলজ  সঞ্চয়ে।  
সে শেকড়ও রোদের নখর নগ্নতায় প্রায় হারিয়েছে পরজীবী স্বভাব, শুধু
সম্ভাবনারাই ফসল হতে প্রহর গুনছে দিনের পর দিন।


আমি সে ফসলের গামর হওয়া কান্ডের ভেতর ঢুকে পড়ি মাঘের
ঠান্ডা, উত্তরীয় হাওয়ায় উড়িয়ে দিয়ে। ভেতরে ভেতরে জলের শরীর
নিয়ে ঘুরে বেড়াই ডাল থেকে পাতা, পাতা থেকে শিরা, শিরা থেকে
ফুলের কলিদের কাছে। দেখি কিভাবে মৌমাছিরা ফুলকে ফসলে
সাজায় প্রতিদিন।  

একটা অনাকাংখিত মা পোকা এসে লার্ভা জন্ম দেয় সবুজের মেলায়।
ক’দিন পর দেখি তাতে একটা নীল প্রজাপতি যুবতী হয়ে ঝাঁঝরা
পাতায় বসে রোদ পোহাচ্ছে। অনেক সবুজের মেলায় কিছু পাতারা রঙ
হারালেও ফসলের সাথে এমন প্রজাপতির জন্ম আমাকে অনেক আনন্দ
দেয়। ভাবি সব কিছুরই কোন না কোন প্রয়োজন আছে।


এ যেন ঠিক তোমার চোখের জলের মত। জলজ মুখের মায়া,
প্রেম আর ভালবাসারা যে কেমন, তা তোমার কান্নাদের না দেখলে
কোন দিন বুঝাই হত না। অথচ তোমাকে কাঁদিয়েছি বলে এই যে এত
অভিযোগ আর অনুযোগ তোমার শুভানুধ্যায়ীদের মুখে, তাদেরকে
কি ভাবে বলব নিড়ানী স্বপ্নরা সময়ের পাখায় উড়ে না বেড়ালেও
নীল প্রজাপতির জন্মেরও যে প্রয়োজন অসীম।
কাঙ্ক্ষিত ফসলের সম্ভারের মতই।


তাই তুমি কাঁদ অথবা তুমি হাস, তুমি দুঃখ পাও অথবা
অনেক সুখ, তুমি অভিমান কর অথবা ভালবাসায় হারাও,
তুমি দূরে থাকো অথবা কাছে অনেক কাছে থাক, তাতে আমার
একটুও ফারাক পরে না। কেননা তুমি যে সকল বেলাতেই আমার।
কেবল যদি তুমি আমায় মনে না রাখ আর ভুলেও একটিবারের
জন্য ভুলে যাও মনে রেখো সেদিন আমিও ফসল
না হয়ে শুধু কলি হয়ে ঝরে যাব আগাছার মত।