মা কি আর কখনও একার হয়, নাকি মা নিজেও কখনও ভাবেন সে একান্ত ভাবেই নির্ধারিত কারও। মা যে সার্ব্জনীন সত্তা। মা তো মমতাময়ী বসুধা, অনন্ত মাটি, অরন্য, আকাশ, আকাশের অগনিত তারা, তাইত ফুল হয়ে ফুটে থাকে। মা মহা সমুদ্রের বিস্তৃত জলরাশি, জল। ভরা আষাঢ়-শ্রাবনের মেঘ, আবার কখনও জলশুণ্য শুভ্রতার হেমন্ত আকাশ, মা কখনও অবিচল মৌনতার বিশাল পাহাড়, নির্মল বাতাসে হেটে যাওয়া ঝলমল রোদ্দুর, হতাশার গভীর ক্লান্তিতে লুটোপুটি খাওয়া অনন্ত অমৃত শূধা।


সন্ধ্যাকাশে উড়ে যাওয়া মা যেন এক ঝাক পরিযায়ী পাখির মত। সে যেন সকল সীমান্তের, সকল প্রকৃতির, কারও একার নয় বরং একক।
তাইত হাসপাতালের বেডও চায় তার বুকে মা থাকুক কিছুটা সময় মমতায় জড়াতে, নার্সের যত্নশীল হাত চায় নিভৃতের সেবায় মাকে ঘুম পাড়াতে, শব্দহীন পরিবেশ চায় আপনজনেরা ডুবে থাকুক এককের ধ্যানে অনন্য প্রার্থনায় কেননা মাও যে সেই সত্তারই প্রতিচ্ছবি।


.......................................................................................
ভাল থাকুন, আমাদেরকে এ ভাবেই যে ভাল থাকতে শিখতে হবে... আমাদের মাওই মা, শাবলু ভাবীর Shahreen Rabeya 'র আম্মা বার্ধক্য জনিত অসুখে হাসপাতালে শুয়ে। ভাবীর কষ্টের সাথে এক হতে এ লিখাটুকু...