নিজস্ব ভূবনে আর কতটুকু প্রকৃতি, ফুল, ফল, পাখি, আর মান,
অভিমান, ভালবাসা অথবা প্রতিবাদি ভাষা অবশিষ্ট থাকলে একটা  
মানুষকে স্বাধীন বলা যায়। অথবা তোমার দেয়া স্বাধীনতার মানে
বুঝা যায়। অবলীলায় বলা যায় সে কেবল তার নিজের কাছেই
নিজের জবাবদিহিতা নিয়ে শঙ্কিত দিন রাত, দিন দিন প্রতিদিন।    


অথবা ইচ্ছে করলেই সুর্য উদয়-অস্ত দেখবে বলে ভোরের আর সন্ধ্যার
সাগরকে সে তার পদক্ষেপের সীমানায় জড়াতে জড়াতে হারাতে পারে
আকাশসম স্বপ্ন রাজ্যে যেখানে অবশিষ্ট স্বাধীনতাটুকু হারানোর চেয়ে বরং
অনেক পাওয়ার বিলাসি বিড়ম্বনা বন্ধুর। তবুও সেখানে ভাবনারা তোমার
দেয়া ছকে গড়িয়ে চলে না প্রতিদিন স্বাধীনতাকে বন্দি করে।  


আমাকে নিয়ে তোমার ভাবনার রঙয়ে আঁকা বিশাল ক্যানভাসের ছবি
হতে দিন রাত আমি বিভিন্ন চরিত্র হয়ে তোমার সম্মুখে কখনও বসছি,
কখনও দাঁড়াচ্ছি, কখনও ঘুমাচ্ছি। তুমি চাইলে আবার কখনও তোমার
চোখে চোখ রেখে হাসছি, কাঁদছি, গম্ভীর হিচ্ছি, কখনও চোখ লুকাচ্ছি।
অথচ নিজেকে লুকানোর সীমানাটুকুও তুমি কেড়ে নিয়েছ আমাকে
পরাধীন করতে মনের অজান্তে।


তুমি চেয়েছ বলেই তোমার উল্লসিত রঙয়ের চর্চা থেকে আমি নিভৃতে
ফিরে গেছি নির্জনতার কাছে, তুমি চেয়েছ বলেই তরল আর নিকটিনের
নেশা থেকে মুক্তো করেছি চৌকাঠের গুমোট পরিবেশ। তুমি চেয়েছ বলেই
আধুনিক সুর ও বানীর আকর্ষণ থেকে নিবৃত করেছি অন্তরিক্ষে
কান পেতে অসীম শূন্যে।


আমাকে তোমার মত করে গ্রহনীয় করতে নতুন করে এই যে বাধ্যতার
এত আয়োজন, এই যে নিজের জীবন থেকে এত কিছুকে বিসর্জন দিয়েও
তোমার ভালবাসা পেতে এত সাধনা, তারপরও আমি উপেক্ষিত হলাম,
আমি আমার প্রতিদিনের অবশিষ্ট স্বধীনতা থেকেও বঞ্চিত হলাম তোমার
প্রেম আর ভালবাসার কাছে, এ কেমন স্বাধীনতা আমার।