বুল্ডোজাআরের ইস্পাত ছোবলে বাড়ির অর্ধেক ভেঙ্গে গেলেও বরং
ভেঙ্গে ফেলা হলেও তাকে এখন “চৌধুরী কুঞ্জ” না বলে যদি বলি
“ভাংড়ি বাড়ি” তাহলে কি মুছে যাবে তার আসল নাম।
তবুও ঘটনার সাথে প্রাসংগিক “ভাংড়ি বাড়ি” নামটায় তুমি
সহজেই চিনে গেলে আজ বিকেলে কোথায় দেখা হচ্ছে আমার
তোমার সাথে।


আসলে বাড়ি ভাঙ্গলে দাগ থাকে, চিহ্ন থাকে, কাঁচ ভাঙ্গলে দাগ থাকে,
ধার থাকে। নদীর পাড় ভাঙ্গলে বসতি অথবা আবাদ হানির
আহাজারি থাকে, কান্না থাকে অথচ হৃদয় ভাঙ্গলে কোন দাগ বা
চিহ্ন দেখা যায় না, শোনা যায় না ভাঙ্গার কোন শব্দ।
তাই সহজে বুঝানোও যায় না কেমন আছি, কি নিয়ে কাটছে আমার
প্রতিটা দিন।

তাই এটাই প্রতিষ্ঠিত সত্য- মন ভাংগা আর মসজিদ-মন্দির ভাঙ্গা
যেন একই কথা। কেননা মসজিদ আর মন্দির যে মনেরই বাস্তব রুপ।
একে তাই বাড়ি বলা যায় না।একে তাই বুল্ডোজার অথবা
বিস্ফোরক দিয়ে ভাঙ্গা যায় না। আপাততঃ রাস্তার জন্য বাড়ি
ভাঙ্গা হলেও মন থেকে যে রাস্তা সোজা গিয়ে মিলেছে তোমার ফলজ
আঙ্গিনায় সেখানে শুধু আজ বিকেলে নয় প্রতিদিন আযান বেলায়
দেখা হোক তোমার সাথে এই এখন আমার অনুক্ষন প্রার্থনা।