অবসাদের শরীর থেকে বেয়ে দু’চোখ উপছানো
শীতের নকশী কাঁথা ঘুম কেড়ে নিয়ে তুই এখন
গ্রীষ্মের তাপদাহে ওষ্ঠাগত ঘামে গলে গলে যাওয়া
উষ্ম ভালবাসার বিছানায় ঘুমাতে বলিস। যদিও রাত
জাগা ঘুম এখন আমার প্রতি দিনের সংগী হোয়ে,  
আমাকে ভাংগে-গড়ে, এ তোর কেমন ভালবাসারে!  


হামাগুড়ি দিয়ে রাত নামে, ঘুমেরা ঘুমের খাটের
চারিদিকে ঘুর ঘুর করে, আমাকে চেয়ে চেয়ে দেখে,
কখনো জড়িয়ে ধরে ঘুমাতে চায়। অথচ তোর গল্পরা
এসে আমাকে জাগিয়ে রাখে ভালবাসার বাহু ডোরে।
তখন চোখের ঘুম- নাকি তোর ভালবাসার রাত জাগা
বাহু ডোর, কোনটা বেশী প্রয়োজন তা আর মোটেই  
তফাত করতে পারি না। তাই রাত জেগে থাকে চোখে।

প্রতিদিন রাত জাগা চোখ দেখে আমাকে তুই ঘুমাতে
বলিস ঠিকই। কিন্তু ঘুমেরও যে একটা সাথী আছে ,
সঙ্গী আছে, ভালবাসা আর আদরের মানুষ আছে,
ঘুম পাড়ানি মাসি-পিসি আছে। তারা ঘুম পাড়িয়ে
দিলে ঘুমেরও ঘুম জুড়ে আসে চোখে আর তখন
তোর গল্পের পাতারা উল্টে যেতে চায় শিয়রে ঘুমের  
পাতায় চোখ বুঁজতে।


তাই এ ঘুমহারা চোখ ঘুমের সাথীকে খুঁজে, যে সাথী  
চোখের পাতায় ছুঁইয়ে দেবে আদুরী ওষ্ঠের মৃদু চুম্বন,
বুকের মধ্যে ভালবাসার পরশ বুলিয়ে দিতে দিতে চোখে
নামাবে ঘুমের আঁধার, তবেই কেবল এ দু’চোখ ভরে
ঘুম হতে পারে-গাঢ় ঘুম। তখন তোর মনে এমন আশঙ্কা  
না নেয় জন্ম- আমার ঘুম কি চির নিদ্রায় গড়ল আবাস?
এর চেয়ে তো ভালই ছিল আমার রাত জাগা ঘুমের চোখ।