আমার শেষ ভালবাসা, শেষ প্রেম, আমার শেষ অস্তিত্ব,  
আমার বুকের মধ্যে শিহরণের শেষ চিহ্ন কেবল তুই।
তাই তোকে ধারণ করি, লালন করি, আরাধনা করি
এই বুকের মধ্যে। যেখানে লুকিয়ে রাখা যায় হাজার
অভিমানের পাহাড়, হাজার ভালবাসার সাগর, হাজার
মরুভূমির যন্ত্রনা, লাখো আকাশের কান্না আর অগনিত
তারার দেশ। সেখানে যোজন যোজন যুগ বাঁচব বলেই
আজও একে অপরকে চিনে নেয়া, কখনও দুঃখ কষ্টের
প্রহর গোনা, কখনও স্বপ্ন আশা আর আকাঙ্ক্ষার সাথে
বুঝা পড়ার সময় খোঁজা সেই প্রথম প্রেমের মত।


আমি সময়কে বলে দিয়েছি, না- শুধু তাইই নয় সময়ের  
সাথে আমার প্রতিটা দিন প্রতিটা মুহুর্ত অনেক কথা হয়।  
কেননা আমি যে সময়কেই ভাবি প্রতিটা সৃষ্টির আঁধার,
সকল ধ্বংসের অপেক্ষা, ভালবাসা, প্রেম, সুখ, দুঃখ,
হাসি, কান্না, পাওয়া, না পাওয়ার ভয়ংকর সব অস্তিত্ব।
আমি তাই এ কষ্ট প্রতিক্ষাগুলো হৃদয় দিয়ে অনুভব করি
আর দেখি- একদিন ঠিকই ছোট্ট বেলার মত তুই আমার
হাতটা ধরে তারার আকাশে ছুটছিস ঝরে পড়া তারাদের
ধরবি বলে, কথা বলবি ওদের সাথে ওদের ঝরে পরা
অভিমান নিয়ে। আর ভাব্বি নিজের অভিমানের গভীরতা।


আমি দিব্বি দেখতে পাই তুই আমার বাহু ধরে দোল  
খেতে খেতে উড়ছিস আকাশের গায়, আর মুখে খই
ফোটানো কথায় বৃষ্টি হতে অনুনয়ে ভরছিস ভেসে
বেড়ানো মেঘেদের ভেজা মন। আমি প্রচন্ড ধৈর্য নিয়ে
উষ্ণ বন্ধুর পথ পায়ে মাড়িয়ে মহাকালের সড়ক দ্বীপে
এসে দাঁড়াই। দেখি-তুই কত নির্দ্বীধায় সুর্্যনকে আগলিয়ে
শুধু মাত্র আমাদের এই কৃত্য স্বর্গীয় প্রেমের জন্য অমিয়  
শান্তির সামিয়ানায় বেঁধেছিস বিনম্রের নিগুঢ় ছায়া,  
যেখানে জড়াজড়ি করে বাস করবে বলে আমাদের  
নিঃস্পাপ প্রেম আর ভালবাসা অনন্ত কাল!