আমার দুর্গা
অজিত কুমার কর


আমার দুর্গা মর্ত্যবাসী কৈলাসে তাঁর নয়কো বাস
সব থেকেও নিঃস্ব বড় ফেলছে গভীর দীর্ঘশ্বাস।
বয়স এখন আশির ওপর দিবস যেন নিকষ রাত
ব্যথাভরা কঠিন জীবন পুরো অসাড় এক পা হাত।


আমার দুর্গা খুবই ছোটো বয়স কত নয় বা দশ
বেরিয়ে পড়ে সকাল হলে খেটে খেটে হাত অবশ।
লেখাপড়ায় ঝোঁক ছিল খুব সব আশা কি পূরণ হয় ?
জোগাবে কে দু’বেলা ভাত মানুষকে পায় ভীষণ ভয়।


আমার দুর্গা অনাথিনী আপন কেহ নেইকো যার
হাজার ইগল ছোঁ মেরে যায় দুঃখে কাটে জীবন তাঁর।
কতরকম ছলচাতুরী সফেদ বেশে কুটিল মন
ধরার মানব কেন এমন বন্যরাও হয় সুজন।


আমার দুর্গা পথের শিশু পথের পাশে রাত কাটায়
খাবার জোগাড় নিজেই করে আস্তাকুঁড়ে সব সে পায়।
কুড়িয়ে পাওয়া একটা জামা শীতে ওতেই ওমের সুখ
জননী তাঁর ঝুপড়িবাসী রাত্রে কেবল দেখায় মুখ।


আমার দুর্গা দাঁড়িয়ে দেখে কেউ যখন খায় ললিপপ
কখন পড়ে মুখ থেকে তাঁর ছুট্টে গিয়ে খপাত খপ।
কীভাবে যে দিন কেটে যায় শীর্ণ দেহ করুণ চোখ
এড়িয়ে চলে সভ্য মানুষ বুঝবে কেবা ওদের শোক।


আমার দুর্গা লক্ষ কোটি ভিন্নরূপে বিদ্যমান
ব্যথার পাহাড় জমাট বুকে বাঁচাবে কে এদের প্রাণ।
এদের কী দোষ বল মা উমা শুধু একটু শান্তি চায়
নিরাপত্তা পেটের খাবার বলনা মা গো কোথায় পায়।