খুকু গেছে জল আনতে কাজলা দিঘির ঘাটে
জল নিয়ে তো ফিরল না সে চিন্তাতে দিন কাটে।
বিকেল গেল সন্ধে হ’লো
কুলায় সকল পক্ষী এলো
আজকে কেন হচ্ছে দেরি আতঙ্কে বুক ফাটে।


‘তোমার তো ঘর দিঘির পাড়ে দেখনি কি তাকে
বলনা ভাই আর কে ছিল, আর বা শুধাই কাকে।’
‘না দিদিভাই ছিলাম না তো,
হয়ে গেল অনেক রাতও
থানায় একটা ডাইরি কর, যদি খবর থাকে।’  


সারাটা রাত এদিক-ওদিক খুঁজে হ্যাজাক জ্বেলে
সঙ্গে আরও পাড়ার ক’জন যদি কোথাও মেলে।
হতাশ হয়ে ফিরল ঘরে
দুই নয়নে অশ্রু ঝরে
কী যে হ’ল কোথায় গেল কলশিটাকে ফেলে।


বারোদিন পর মিলল দেহ ওই দীঘিরই পাড়ে
ফেলে গেছে অন্ধকারে একটা ঝোপের আড়ে।
হাজার ক্ষত দেহের ’পরে
যৌনাঙ্গে তার রক্ত ঝরে
হতবাক ওই দৃশ্য দেখে দীর্ঘ নিশ্বাস ছাড়ে।


বন্য পশুর চেয়েও হিংস্র ইতর শ্রেণির প্রাণী
মানবরূপী হলেও ওরা মনুষ্য নয় জানি।
কী বীভৎস নির্মমতা
বিরাজ করে নিস্তব্ধতা
নিঃশঙ্ক নয় কারও জীবন লুটায় বুদ্ধ-বাণী।


চলছে বেড়ে সংখ্যাটা খুব চিত্ত ব্যথায় ভরে
দিল্লি-কসুর-হরিয়ানায়  সবার অগোচরে।
জুভেনাইল! পাচ্ছে হাসি
সে-ই ছিল খুব আগ্রাসী
কেমন বিচার, অন্ধা কানুন, দেশ-দেশান্তরে!


আশঙ্কাতে প্রহর কাটে গেলে ঘরের বাহির
যতক্ষণ না ফিরছে ঘরে মাতাপিতা অস্থির।
কেন এমন হচ্ছে সমাজ
বাড়বাড়ন্ত যত কুকাজ
ওদের অত্যাচারে সবার স্বপ্ন ভেঙে চৌচির।


দু’দশ বছর জেল বা হাজত যথেষ্ট নয় মোটে
শাস্তিবিধান এমন হবে আঁতকে যেন ওঠে।
আশকারা দেয় ওদের যারা
একই দোষে দুষ্ট তারা
তাদেরও হোক কঠোর সাজা দেশের শীর্ষ কোর্টে।