ছোট্টো আছি ছোটোই থাকি যেন আমি না হই বড়ো
যে হতে চায় হোকনা সেজন যা প্রয়োজন করুক জড়ো।
                দেখছি বসে হলুদ পাখি
                আপন মনে উঠল ডাকি
ওরা এলেই খুশিতে রই মধুর ডাকই মন ভরায়
সব অবসাদ কাটিয়ে ফেলি ঝরনা যেমন জল ঝরায়।


সকাল হলেই চরাতে যায় রাখাল যখন গরুর পাল
আমার খুবই ইচ্ছে করে ওরই সাথে কাটাই কাল।
             বাজাবে ও যখন বাঁশি
            শুনবো বসে পাশাপাশি
গোরু বাছুর চরবে মাঠে পেট ভরাবে সবুজ ঘাসে
আমরা তখন লুটবো মজা ব্যস্ত রবে কৃষক চাষে।
    
ভ্রমর প্রজাপতির মতো থাকত যদি আমার ডানা
খুব সহজে যেতাম উড়ে মা কি তখন ক’রত মানা?
           ফুলের রেণু লাগতো গায়ে
           ভেসে যেতাম মধুর বায়ে
কী মজা যে হতো তখন ভেবে আমি পাইন না কূল
পাখিরা পায়, মৌমাছি পায়, আমার বেলা অপ্রতুল!


গাঁয়ের মেঠো পথটি ধরে বাউল ফকির যখন যায়
একতারা তাঁর বেজেই চলে ঘুঙুর বাজে তার দু’পায়।
                আমিও তো নাচতে পারি
                 শিখছি এখন কষ্ট ভারী
একতারাটা পাবো কোথায় বানিয়ে নিলে কেমন হয়
লাউ ধরেছে এবার গাছে ভাবনাটা খুব মন্দ নয়।


কত কী যে ইচ্ছে করে  বড়ো হলেই ঘোর বিপদ
কাজের বোঝা চড়বে শিরে ছোট্টো থাকাই নিরাপদ।
             কী রে খোকা কী যে ভাছিস
             এমন সময় বসে আছিস
আয় এদিকে আমাকে বল খেলতে যাবি কখন তুই
‘বড়ো হতে চাই না মা গো তোমার কোলে কেমন শুই।’