গগনচুম্বী ব্যথার পাহাড়
অজিত কুমার কর

আমার ব্যথার গভীরতা মাপতে তো কেউ পারবে না
পলে পলে হচ্ছি দগ্ধ আগুন মোটেও নিভছে না।
ঘুরছি ফিরছি কর্ম করছি ঠোঁটের হাসি নয় মলিন
ঘড়ির কাঁটার মতোই আমার ব্যস্ততাতে কাটছে দিন।

'সততা' এই আখরমালা অভিধানেই গচ্ছিত
চতুর্দিকেই ধান্দাবাজি 'সততা' তাই লজ্জিত।
মুখ খুললেই মাড়িয়ে দিয়ে উধাও হবে মার্সিডিজ
শিরায় শিরায় বইছে এখন দুরারোগ্য রোগের বীজ।

বেকারত্বের কী যে জ্বালা বোঝে কেবল বেকার যে
চাকরি কী আর হাতের মোয়া চাই সুপারিশ নেতার যে!
অযোগ্য নয় যুবা-যূনী কৃতকার্য পরীক্ষায়
নিয়োগপত্র 'আকাশের চাঁদ' কী করে তার নাগাল পায়?

বৃদ্ধ বাবা-মায়ের ওষুধ খাবার জোগাড় করবে কে?
ধরনা দিতেই কাটছে সময় পাশ ক'রবার পর থেকে।
দাদার মুখের দিকে চেয়ে অনূঢ়া এক ভগিনী
বিয়ের বয়স অতিক্রান্ত সে দারিদ্র্যের সঙ্গিনী!

ব্যথার পাহাড় অতি উচ্চ এভারেস্টও মানবে হার
উত্তাপে তো বরফ গলে ব্যথার গলন হয় না আর।
ব্যথার কোন আকৃতি নেই তবে অঙ্গে হাজার তির
বিচলিত করছে নিত্য বাষ্পীভূত অশ্রুনীর।

© অজিত কুমার কর