কোনটা সোজা কোনটা বাঁকা
কোনটা কাঁচা কোনটা পাকা
    আকাশপানে তাকিয়ে থাকে
                 উচ্চে তুলে শির,
বাতাস হলে অঙ্গ দোলে
ক্যাঁকর ক্যাঁকর শব্দ তোলে
    শুকনো পাতা চরকি ঘোরে
                 ভুঁইয়ে পড়েই থির।


কচিবাঁশের গাত্রে চাদর
পরম যত্ন কতই আদর
    বড় হলেই পড়বে খসে
                নেইকো তখন ভয়,
শক্ত হবে নরম দেহ
পারবে নাকো ভাঙতে কেহ
    মজবুতি খুব কাঠামোতে
                রাখবে পরিচয়।


বাঁশের কুলো বাঁশের ঝুড়ি
বাঁশের লাঠির অমিল জুড়ি
    কত কী যে তৈরি করে
                 শিল্পী কারিগর,
দরমাতেও ঘরের বাহার
সাঁকো দিয়ে খালের ওপার
    খুব সহজে গাঁয়ের মানুষ
                   পৌঁছে সবার ঘর।


আমার খুবই মনে পড়ে ছেলেবেলার গান
ঘুম পাড়াত মা-ঠাকুমা থাকত খাড়া কান।
        চাঁদের আলো জানলা দিয়ে
        আসত পাতার পরশ নিয়ে
বাঁশের প্রতি চাঁদের এমন ভালোবাসার টান।