মহাশ্বেতাদি-  তোমার লেখনীতে
                ভর করে সরস্বতী।
নিপীড়িত মানুষের মর্মবেদনা
      লিপিবদ্ধ করেছ প্রতিনিয়ত।
               তুমি দিব্যজ্যোতি।


ওরা শবর, ওরা লোধা, ওরা অন্ত্যজন
শাসনযন্ত্র ওদের জন্য নয় ।
ওরা অবাঞ্ছিত, ওরা অভাজন
             পরম স্নেহে করেছ লালন।
গর্জে উঠেছে  বারবার
শাণিত তরবারিসম ক্ষুরধার
                  লেখনী তোমার।
চেয়েছ ফিরিয়ে দিতে কিছুটা সম্মান।
দাম্ভিক শাসককুলের হুঁশ কি সহজে ফেরে!
শুধুই অবজ্ঞা ঘৃণা আর লাঞ্ছনা
                       কেবল প্রত্যাখ্যান।
চাপিয়ে দেয় বদনামের পাহাড়
সত্য মিথ্যা যাচাই করার প্রয়োজনও
অনুভব করেনি, যেমনি ইংরেজ
তেমনি দেশের শাসককুল।
                ঐতিহাসিক ভুল!
ওদের চুনি মরে কিন্তু
এদের সুচেতনার গায়ে আঁচড় পর্যন্ত কাটতে দেয় না।
এদের গা যে বড় তুলতুলে!
এদের জন্য বিগলিত করুণা
                   জাহ্নবী যমুনা।
আহা কী বিচিত্র তথাকথিত
                সভ্য এদেশের প্রশাসন!
কীসের দম্ভ -  শিক্ষা দীক্ষা না ক্ষমতার
                       যেন অচলায়তন।
তুমিও রইলে ব্রাত্য এদের কাছে।
সৌজন্যবোধটুকুও নেই,
                      রং বাছে।


তুমি একাধারে মাতা  দিদি বন্ধু-
                   অন্ত্যজনের আশ্রয়স্থল।
মহাশ্বেতার মৃত্যু নেই, মহাশ্বেতা অমর
                    তারকার মতো উজ্জ্বল।