রাজার দুহিতা গঙ্গাবাই তেজ যেন সবিতার
একনিষ্ঠ সেনানী যোগিনী দৃঢ় মনোবল তাঁর।
যোগ সাধনায় নিমজ্জিত ভাবনায় কাটে দিন
আড়ম্বর, বিলাসব্যসন, ভোগসুখে উদাসীন।


গভীর রাত্রে কৃপাণ হাতে ছিঁড়ে হৃদয়ের টান
মুক্তামালা উপহার দিয়ে ঘোড়া চড়ে প্রস্থান।
শুরু হ’ল অরণ্যজীবন পরিধান বল্কল
ফলমূলপাতা খাদ্য তাঁর কিঞ্চিৎ সম্বল।


পঞ্চাগ্নিব্রত আর তপ চলে দেড়মাস ধরে
ভেলোর ফোর্টে প্রত্যাগমন পিতার হস্ত ধরে।
সন্দেহবশে শত্রুসেনা আটক ক’রল তাঁকে
তিরুচিরাপল্লির দুর্গে পড়ল দুর্বিপাকে।


ছাড়া পেয়ে নৈমিষারণ্যে এবার তাঁর গমন
কঠোর সাধনায় রত তিনি শিবের চরণে মন।
দেশের জন্য ব্যাকুল মন এলো ডাক স্বামীজির
সদাসর্বদা সাথি রানির উন্নত দৃঢ় শির।


মহারানি মাতা তপস্বিনী সাধিকা গঙ্গাবাই
দেশহিতৈষী শিক্ষাব্রতী কত পরিচয় পাই।
নিজ চেষ্টায় স্থাপিত হ’ল মহাকালী পাঠশালা
বিবেকানন্দ ভীষণ খুশি শুভাশিস প্রাণঢালা।


আজীবন রত শুভকর্মে তিনি এক মহাপ্রাণ
পথপ্রদর্শক ভারতের দীপিকা অনির্বাণ।