তুমি ছাড়া এ জগতে কেহ নাই মাগো
রজনি প্রভাত হ’লো,ওঠো, তুমি জাগো’।
বরষামুখর দিন বেলা প্রায় শেষ
পরনে নতুন শাড়ি সাঁঝের প্রবেশ।
ব্যস্ততায় কাটে দিন উনুনের ধারে
সহসা এগিয়ে এল যমদূত দ্বারে।
হাট থেকে পিতৃদেব ফিরিলেন বাড়ি
চিকিৎসার বন্দোবস্ত হলো তাড়াতাড়ি।


রয়েছি তখন দূরে দুঃসংবাদ পাই
অবিলম্বে বদ্যিসহ গাঁয়ে পৌঁছে যাই।
ক্ষণ পরে দিল পাড়ি এ আমার দোষ
মরমে বিজুরি কশা অশনি নির্ঘোষ।
অমলিন হাসিমুখ মুদিত নয়ন
ফুকারিয়া কেঁদে উঠি বিপর্যস্ত মন।