ও সখী তুই কোথায় গেলি
হাতটা এসে ধর
একলা কি আর হাঁটতে পারি
কাঁপছি রে থত্থর।
রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে কারা
খোশগল্পে মত্ত তারা
খুশি যে তোর বাঁধনহারা
মিষ্টি রবির কর
বালির ভিতর দিঘার চরে
কাঁকড়া বানায় ঘর।


রিন্নিসোনার মিষ্টি হাসি
ভরায় আমার মন
বিষণ্ণতা পালায় ছুটে
খোঁজে কোথায় বন।
সফেদ ফেনা লাগছে পায়ে
কেশ উড়ছে সাগর-বায়ে
ঝাউবনে শনশন
যতই ডাকি যায় না কানে
বিফল আবেদন।


অমন কেন ক’রছ দাদু
চুপটি করে বোসো
ফিরবো নাকো এখন ঘরে
একটুখানি রোসো।
ঢেউগুলো সব আসছে ভেসে
জানি না তো পাঠায় কে সে
নাতনি বলে হেসে হেসে
ললিপপটা চোষো;
এখন ওযে লুটছে মজা
যায় না দেওয়া দোষও।


মা দাঁড়িয়ে একটু দূরে
বলছে না তো কিছু
আঁচলটি তার মাখছে বালি
হাসছে বাবার পিছু।
আমার হাতে খুকুর ছাতা
দুলছে হাওয়ায় গাছের পাতা
সাগরে নীল চাদর পাতা
জাগছি আমি জুতো
হাতের বেলুন উড়েই গেল
কাটল যখন সুতো।


জেলেরা সব ভিড়ছে তীরে
সাগরে মাছ ধরে
চকচকে চোখ ওদের দেখি
পড়ছে খুশি ঝরে।
রিন্নি এবার আসছে ছুটে
অনেক মানুষ সঙ্গে জুটে
সবার মনে হর্ষ ফুটে
দেখছে নয়ন ভরে
সকালটা বেশ কাটলো ভালো
দিঘার বালুচরে।