মহামায়ার পড়ল চরণ ধরার বুকে
কুঁড়ির ভারে শেফালিডাল কেমন ঝুঁকে।
ঝুরু ঝুরু পড়ছে ঝরে
গাছের নীচে হিমেল ভোরে
হলুদ বোঁটায়  হৃদয়হরণ তৃপ্তি শুঁকে।


বর্ষারানির এখন ছুটি কাশের ভেলা
ফুল বাগিচায় প্রজাপতি উড়ছে মেলা।
পেঁজা তুলো আকাশজুড়ে
আপন  মনে যাচ্ছে উড়ে
অবাক চোখে দেখছে খুকু ওদের খেলা।


পুজো মানে আনন্দ আর হইহুল্লোড়
শরৎ বলে পাখির মতো এবারে ওড়।
ঠাকুরদেখা খাওয়া ঘোরা
মালতি জুঁই আয় রে তোরা
দেরি কেন করিস ওরে মাণিক্যজোড়।


প্রথমে যাই পাঁশকুড়াতে নদীর ওপার
এখন মাত্র একহাঁটুজল সহজে পার।
পুঁটি-চেলার ছরছরানি
ছলকে ওঠে নদীর পানি
রবির আলোয় পড়ল চোখে ওদের বাহার।


স্টেশনবাজার-রেলকলোনি-তিনকোণা পার্ক
ওদের প্যাণ্ডেল সাররবুকে যেন এক শার্ক।
লাইন দিয়ে এগোই ধীরে
প্রণাম জানাই নতশিরে
গুণাগুণের বিচারে পায় একশত মার্ক।


ঠাকুরদেখা সাঙ্গ করে খাবার পালা
পরটা ও আলুর দমের বাড়ায় থালা।
জিলিপি আর খাস্তা গজা
গরমাগরম দারুণ মজা
এতেই সবার মিটে গেল উদর জ্বালা।


ঘুরে ঘুরে ঠাকুরদেখে আমরা সুখী
ভিখারিদের দুঃখ দেখে বড়ই দুখি।
প্রতীক্ষা ফের একটি বছর
পুজোর পরে নেই অবসর
তৃপ্তিসুখে সবাই এখন গৃহমুখী।