শেষ চৈত্রের এক অপরাহ্নে
কালবৈশাখী এলো আকাশ জুড়ে,
ছেয়ে গেল ঘন কালোয় দিগ্বিদিক।
প্রচন্ড গর্জন করে শুরু হল তান্ডব।
গৃহস্থেরা বন্ধ করল দরজা জানালা।
পথিকেরা আশ্রয় নিল যত্রতত্র।
একটা বড় গাছের ডাল
ভেঙে পড়ল সশব্দে।
দুহাতে কান ঢাকলাম -
শার্শির ওপারে দেখা গেল
বিদ্যুৎ এর ঝলকানি।
নামল যখন বৃষ্টি
শান্ত হল যত কোলাহল।
কৌতুহলী চোখ জানলায় এসে দাঁড়াল।
বৃষ্টিও থেমে গেছে তখন....
গাছের ভাঙা ডাল পড়ে আছে
রাস্তায় আড়াআড়ি ভাবে।
পথচারীরা ব্যস্ত তা সরাতে।
সেখান থেকেই এক পথশিশু
কুড়িয়ে নিলো ছিন্নভিন্ন
পাখির একটা বাসা।
দৃষ্টি গেল গাছের ওপরে তখন,
একটা ভাঙা ডালে।
দুটি পাখি একসাথে বসে
গা ঘেঁষাঘেঁষি করে।
থরথর করে কাঁপছে যেন,
আতঙ্কে না হাওয়ায়!
কাঁপছে তাদের ছোট্ট দুটি হৃদয়।
দৃষ্টি তাদের অন্তহীনে -
অনন্ত নীলে।
মূঢ়তা তাদের শরীরী ভাষায়।
নীড় হারিয়েছে ওরা
হেরে গেছে যেন।
চোখ বুজে গেল আমার।
দেখতে পেলাম কাঁদছে ওরা,
একে অপরের আলিঙ্গনে।