রাস্তার ধারে স্তুপাকৃতি জঞ্জালের
'এভারেস্টে' উঠতে উঠতে,
দুহাত দিয়ে ঘেঁটে ঘেঁটে দেখছিলুম,
কোথাও একটুকরো খাবার আছে কিনা।
বড়লোক বাবুদের উচ্ছিষ্ট__
ডাবের খোল , কলার খোসার মধ্যে_
তরমুজের একটা খোলা পেয়ে গেলুম।
একটুখানি লাল অংশ লেগে আছে তাতে।
কোনো সহৃদয় বাবু হয়ত,
তাচ্ছিল্য করে ফেলে দিয়েছে।
কালো কালো মাছিরা
সেটাকে কুরে কুরে খাচ্ছিল।
আমি তাদের মুখের গ্রাস কাড়াতে,
ভনভন শব্দে প্রতিবাদ জানাতে এলো।
অবশ্য সংগ্রামে আমি জিতলুম।
বিজয় গৌরবে 'এভারেস্টের'
চূড়ায় বসে পা নাচিয়ে,
তারিয়ে তারিয়ে খেতে লাগলুম।


আঃ, কতদিনের খিদে আর তেষ্টা!!


শহুরে মেয়েরা জঞ্জালের
পাশ দিয়ে যেতে যেতে দুর্গন্ধে
নাকে রুমাল চাপা দিল।
আমার পরনের কাপড়ের ফালিটাই তো
রুমালের মতো।
মুটেগুলো একপাশে বসে,
হাতে খইনি রগড়াতে রগড়াতে
আমার উদ্ধত যৌবন গিলছিল।


আমার খুব বড়লোক হতে ইচ্ছে করল।


বড় বাজার থেকে হাঁটতে হাঁটতে
খুব তাড়াতাড়ি 'ভিক্টোরিয়া' য়
পৌঁছে গেলুম।
সাদা ফিয়েট গেটের সামনে এসে দাঁড়াল।
ভিক্টোরিয়ার সবুজ ঘাসের উপর
আমার প্রিয়তম এসে বসল।
আমি তার কোলে মাথা রেখে
চাঁদ দেখতে লাগলুম।
আমাদের সংলাপ অসংলগ্ন
হয়ে যেতে লাগলো।
..........................................
ইশ্, সুন্দর চাঁদটার মধ্যে
কি বিশ্রী একটা ক্ষত।
কলঙ্ক!!!


***রচনাকাল__1979 সাল