রাতের বিকালে হাটছিলাম
পড়ন্ত ভোরের আশায়
সাজগোজ ঠিকই ছিল
মনে ছিল শুভ্রতার অভাব
হারিয়ে ছিলাম ঐ গগণময়
প্রান্তের কিনারায়
পাখিরাও যেন কাশে
এক অপলক কুয়াশায়
দৃষ্টি নন্দিত দৃশ্য ক্রমশই
দৃষ্টিকটুর পথে দাড়ায়
হাত বাড়িয়ে পাওনা টুকুন
ঠিকই করে নেয় আদায় |


ঝাপসা চোখ, ধীরে ধীরে,
মেলে তার পাখা
সোনার হরিণ লাফায়
পালাবার যে, নাই জায়গা
তবুও কেন যেন অন্তরে
এক ধুধুময় অনুভূতি
বিচলিত সব, এ দ্বার
ও দ্বার, এই বুঝি নিয়তি |


হাতিয়েছি হাত স্নিগ্ধ ললাট
রক্তিম বাসনা, করেছি চপাট
চৌর্যবৃত্ত কবেই ছেড়েছি
রেধেছি শুধু মরুময় হাড়
মরিচিকার দর্শন অপূর্ণ আশা
চিকার মোজেই সে যে সর্বনাশা
দংশন করুল,প্লেগ ছড়াল
লালময় মাঠ কালচে হল
জলস্নাণ কবেই ভুলেছি
বালুকণা যে আজ ঝর্ণার নাম
এ দ্বার ও দ্বার সবই ঘুচেছি
পরিশেষে পেয়েছি আমি কন্টকময় নিয়তি |