মেঘ মালতি
তুমি কি যাবে আমার সাথে?
বল না|
দেখ ,কাঠ গাছে
কি রূপ ফুল ধরেছে
মাছিগুলো শীড়ায় দাড়িয়ে আছে
শুধু তোমারই প্রতিক্ষায়
মেঘ মালতি, একবার বল,
তুমি যাবে ঐ মধ্যচক্রে |


মেঘ মালতি,
একবার উঠে দেখ
সূর্য হাসছে!
নিউটনের গতিকে
আইনস্টাইনের তাপে পরিণত করছে,
শুধু তোমারই জন্য
এক বার হাস,
চোখ মেল,
বল, আমি যাব, তোমার সাথে
চিরতরে, ঐ চিরতায়


মেঘমালতি, দেখ....
তুলা গুলো হারিয়ে যাচ্ছে
আধারে ,
আর সূর্যকে দিচ্ছে ফাকি
কচুরিপানাকে কস্তুরির আভাসে
গায়ে মাখছে|
কি শুভ্রই না তার রং
সূর্যের সাধ নেই ,
যে তোমাকে পাবে
তুলা যে বড়ই পাশান ,স্বার্থপর |
কেউ পাবে না, মেঘমালতি |


দেখ মেঘমালতি
হাজার হাজার শকুন
নেকড়েকে ডাকছে হু হু করে,
শুধু এক বেলা উৎসবের আশায়
তুমি উঠ, বল আজ না
আজ তোমাদের গান শুনাতে
পারব না
কন্ঠ যে মধুর চক্রের
জন্যই ব্যকুল
ওদের ছাড়া হবে না
ছাড় পত্র লাগবে,
তিনটে হাতি রেডি আছে
চিন্তা কি !
উঠ ,বেলা যে যাচ্ছে
আর কত প্রহর এভাবে
বিবর্ণ চুমু দিবে গালে
ঘুমকুমারিও বিরক্ত
এবার উঠে দাড়াও, মেঘমালতি|


তোমার ঐ কেশগুলো
আজও দুলছে
দুলবে তা আমি জানি
শুধু শুধু কি রাগখানাই
না কর লে |
বলতে পার ,এ পারের পালে
হাওয়া বড়ই লেগে ছিল
কিন্তু তাতো রক্ত জবা না
তবুও কেন তালের রসের সাথে মিলল্
সমীকরণ তো অন্য রকম ছিল
স্নিগ্ধ, সাদামাটা, মেটো,
গন্ধ ছিল শুকনো, কঠিন,
তবুও ব্যপন হল |
কার ভুল বল
আমার না ঐ ব্যপনের
অনেক হয়েছে
এবার, জলদি উঠ |


দেখ আজ ভানুর জন্মদিন
ও বার বার ভান ধরছে
ডিগবাজি খাচ্ছে
লুকোচুরি খেলছে
অশ্রুকে বানিয়েছে হাতিয়ার
যে ধারা বইছে
একা সামলাব কিভাবে
একবার বলে যাও |


মেঘমালতি, তুমি উঠে গেছ
আহা কি আনন্দ
এ বুকে চিন করে উঠছে
শুধুই অনুভূতি
অাবেগের কলসি ভরে পড়ছে
কেন জানি শব্দ হয় না |
বল চিঠি দিবে ,মেঘমালতি |